ফ্রান্সে অভিজাত বিপ্লব

ফরাসি বিপ্লব কালে ফ্রান্সে সংঘটিত অভিজাত বিপ্লব প্রসঙ্গে রোবসপিয়ারের মন্তব্য, গুডউইনের মন্তব্য, লেফেভরের মন্তব্য, বিপ্লবের পটভূমি হিসেবে অর্থনৈতিক সংস্কার, তুর্গোর সংস্কার, নেকারের সংস্কার, ক্যালোনের সংস্কার, ব্রিয়াঁর সংস্কার, মৌলিক আইনবিধি, নতুন আদালত স্থাপন, অভিজাত বিদ্রোহ, রাজার নতি স্বীকার, বিপ্লব জয়যুক্ত, বিপ্লবের গুরুত্ব হিসেবে স্বৈরতন্ত্র দুর্বল, অভিজাতদের জয়লাভ ও পুরাতনন্ত্রের দুর্বলতা সম্পর্কে জানবো।

ফ্রান্সে সংঘটিত অভিজাত বিপ্লব

ঐতিহাসিক ঘটনাফ্রান্সে অভিজাত বিপ্লব
রাজাষোড়শ লুই
গণ্যমান্যদের পরিষদ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দ
রাজার নতি স্বীকার২১ মে, ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দ
পরিস্থিতিফরাসি বিপ্লব
ফ্রান্সে সংঘটিত অভিজাত বিপ্লব

ভূমিকা:- ফরাসি বিপ্লব ঠিক কখন এবং কবে থেকে শুরু হয় তা বলা দুরূহ। তবে এ কথা ঠিক যে, এই বিপ্লবের দুটি স্তর ছিল – প্রথমটি অভিজাত বিদ্রোহ এবং দ্বিতীয়টি গণ-বিপ্লব।

রোবসপিয়রের মন্তব্য

বিপ্লবের অন্যতম নায়ক রোবসপিয়র বলেন যে, “রাষ্ট্রে তিনটি শক্তি আছে রাজা, অভিজাত ও জনসাধারণ। জনসাধারণ হল ক্ষমতাহীন। অভিজাত বা ধনীদের দ্বারাই একমাত্র বিদ্রোহ হতে পারে। অভিজাত শ্রেণি ও ধনী সম্প্রদায় ফ্রান্স -এ প্রথম বিপ্লবের সূচনা করে। পরবর্তীকালে জনসাধারণ রঙ্গমঞ্চে আসে।”

গুডউইনের মন্তব্য

অধ্যাপক গুডউইনের মতে, “১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ফরাসি বিপ্লবের প্রত্যক্ষ কারণ কৃষক শ্রেণির অর্থনৈতিক অসন্তোষ বা মধ্যবিত্ত শ্রেণির রাজনৈতিক অসন্তোষের মধ্যে না খুঁজে, ফরাসি অভিজাতদের প্রতিক্রিয়াশীল, উচ্চাকাঙ্ক্ষার মধ্যেই খুঁজতে হবে।”

লেফেভরের মন্তব্য

ঐতিহাসিক লেফেভর বলেন যে, “ফরাসি বিপ্লবের প্রথম পর্বে ফরাসি অভিজাতরাই বিপ্লবের সূচনা করে এবং তারা জয়ী হয়।”

অভিজাত বিপ্লবের পটভূমি

ফ্রান্স-এ অভিজাতদের বিদ্রোহের পটভূমি ছিল নিম্নরূপ। –

(ক) অর্থনৈতিক সংকট

  • (১) ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে ষোড়শ লুই সিংহাসনে বসেন, এবং এক ঘোরতর অর্থসংকটের সম্মুখীন হন। রাজপরিবারের বিলাস-ব্যসন, অমিতব্যয়িতা, ভ্রান্তু করনীতি, যুদ্ধ-সংক্রান্ত ব্যয়, জাতীয় ঋণ ও তার সুদ পরিশোধ প্রভৃতি কারণে ফরাসি রাজকোষ তখন একেবারে শূন্য হয়ে পড়েছে।
  • (২) আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ফলে এই সংকট তীব্রতর হয়ে ওঠে। বাজেটে প্রবল ঘাটতি দেখা দেয়। তখন সমস্যা এমনই জটিল হয়ে পড়েছিল যে, সরকারের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করাই দুরুহ হয়ে ওঠে। নতুন করে কর আরোপ বা প্রচলিত করের হার বাড়িয়ে দেওয়ার আর কোনও উপায় ছিল না।

(খ) তুর্গো-র সংস্কার

  • (১) অর্থনৈতিক সংকট মোচনের জন্য ষোড়শ লুই তুর্গো-কে অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। মাত্র দু’বছরের মধ্যে ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দের শেষে তুর্গো সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ ৬৬০০০০০০ ফ্রাঁ-তে এবং জাতীয় ঋণের সুদের পরিমাণ ৩০০০০০০ ফ্রা-তে নামিয়ে আনেন।
  • (২) ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে তুর্গো রাজপরিবারের অমিতব্যয়িতা ও সরকারি ব্যয়সংকোচ, কর্ভি বা বেগার প্রথার অবসান, অন্তঃশুল্ক ব্যবস্থা রদ, অবাধ বাণিজ্য প্রচলন, আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ না দেওয়া, করধার্যের ব্যাপারে প্রাদেশিক সভাগুলির অনুমোদন নেওয়া বাতিল এবং সর্বোপরি যাজক ও অভিজাতদের উপর ভূমিকর আরোপ প্রভৃতি কয়েকটি প্রগতিমূলক সংস্কারের প্রস্তাব দেন।
  • (৩) দার্শনিক ভলতেয়ার তাঁর এই সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়ে পত্র লেখেন। অভিজাতদের পক্ষে এইসব প্রস্তাব মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। রানি মেরি আঁতোয়ানেত ও অভিজাতদের চাপে ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে তুর্গো পদচ্যুত হন।
  • (৪) পদচ্যুত তুর্গো রাজাকে সাবধান করে দিয়ে বলেন যে, ইংল্যান্ড-রাজ প্রথম চার্লসের শিরশ্ছেদের কারণ ছিল তাঁর দুর্বলতা। ভলতেয়ার তুর্গোর এই অপসারণকে ‘মৃত্যুর ঘন্টাধ্বনি’ বলে অভিহিত করেন।

(গ) নেকার-এর সংস্কার

  • (১) নতুন অর্থমন্ত্রী নেকার ছিলেন জেনেভার এক ব্যাঙ্ক মালিক। এই সময় ফ্রান্স আমেরিকার মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। নেকার কোনওরকম কর ধার্য না করে ৮-১০% সুদে ৫৩০ মিলিয়ন লিভ্র ঋণ সংগ্রহ করে কিছুদিন যুদ্ধ পরিচালনা ও সরকারি ব্যয় নির্বাহ করেন।
  • (২) ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে সরকারি ঋণের বার্ষিক সুদের পরিমাণ ছিল ৩০০ মিলিয়ন লিভ্র। শেষ পর্যন্ত আর ঋণ পাওয়া গেল না। তিনি তখন রাজপরিবারের ব্যয়সংকোচ এবং সুবিধাজনক শর্তে বিত্তবান নাগরিকদের উপর করধার্যের প্রস্তাব করেন। ফলে রানি ও অভিজাতদের চাপে তিনিও পদচ্যুত হন।

(ঘ) ক্যালোন-এর সংস্কার

  • (১) পরবর্তী অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন ক্যালোন। সরকারি বাজেটে তখন বিরাট ঘাটতি। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সমস্ত সরকারি দলিলে বর্ধিত হারে স্ট্যাম্প কর আরোপ, সকল সম্প্রদায়ের উপর ভূমিকর ও ‘গ্যাবেলা’ বা লবণকর আরোপ, ‘কর্ভি’ বা বাধ্যতামূলক শ্রম বিলোপ, অন্তঃশুল্ক লোপ ও অবাধ বাণিজ্য নীতি প্রবর্তনের প্রস্তাব পেশ করেন।
  • (২) অভিজাতরা এতদিন সরকারকে কোনও কর দিত না। সুতরাং, এই প্রস্তাবেও তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রীতি অনুযায়ী এই প্রস্তাবগুলি প্যারিসের পার্লামেন্টে পেশ করার কথা।
  • (৩) ক্যালোন ধরেই নিয়েছিলেন যে, অভিজাতরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে। তাই ক্যালোন ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে অভিজাতদের মধ্যে ‘মুখ্য ব্যক্তিদের সভা’ বা ‘গণ্যমান্যদের পরিষদ’ ডেকে তাঁর এই প্রস্তাব পাস করাতে সচেষ্ট হন।
  • (৪) এই সভার সদস্যরা রাজা কর্তৃক মনোনীত হলেও তারা কোনওভাবেই তাদের অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি ছিল না। তারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং তাদের চাপে রাজা ক্যালোনকেও পদচ্যুত করেন।
  • (৫) গুডউইন বলেন যে, ক্যালোনের প্রস্তাব কার্যকরী হলে পুরোনো ব্যবস্থার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন সম্ভব হত। কিন্তু ঘটনাক্রমে তা সম্ভব হয় নি।
  • (৬) এজন্য লেফেভর রাজা ষোড়শ লুইকেই দায়ী করেছেন। তাঁর মতে, অভিজাতদের নির্দেশ দানের পরিবর্তে, রাজা তাদেরই পরামর্শ প্রার্থনা করে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

(ঙ) ব্রিয়াঁ-র সংস্কার

  • (১) পরবর্তী অর্থমন্ত্রী ব্রিয়াঁ ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে ‘গণ্যমান্যদের পরিষদ ভেঙে দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ‘প্যারিসের পার্লামেন্টে’ তাঁর কর-প্রস্তাব পেশ করেন। অভিজাতদের নিয়ে গঠিত এই সভা বুঝতে পেরেছিল যে, ব্রিয়াঁর কর-প্রস্তাব কার্যকরী হলে তাদের কর প্রদান থেকে অব্যাহতির প্রাচীন অধিকার বিনষ্ট হবে।
  • (২) তারা ব্রিয়াকে এই ধরনের ‘বে-আইনি’ কর-প্রস্তাবের জন্য ‘তীব্র ভর্ৎসনা’ করে এবং তাঁর প্রাণদণ্ডের হুমকি দেয়। এই সভা অন্যান্য প্রস্তাব মেনে নিলেও ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে স্ট্যাম্পকর ও ভূমিকরের প্রস্তাব বাতিল করে দেয় এবং বলে যে, কর বসানোর অধিকার আছে একমাত্র স্টেটস জেনারেলের, যার অস্তিত্ব ১৬১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকেই বিলুপ্ত।
  • (৩) এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ ষোড়শ লুই পার্লামেন্টের বিশেষ রাজকীয় অধিবেশন ডেকে কর প্রস্তাবগুলি পাস করেন। এতে প্যারিস পার্লামেন্টের সদস্যরা তীব্র আপত্তি জানায়। তারা রাজকীয় অধিবেশনকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করে এবং বলে যে, এই ধরনের করধার্যের অধিকার আছে একমাত্র স্টেটস জেনারেলের।
  • (৪) পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্যের আচরণে বিরক্ত হয়ে রাজা নিজ ভ্রাতা অর্লিয়েন্সের ডিউক ও অপর দুই সদস্যকে প্যারিস থেকে নির্বাসিত করেন। এতে পরিস্থিতি জটিলতর হয়ে ওঠে।

(চ) মৌলিক আইনবিধি

১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ মে পার্লামেন্টের ক্ষিপ্ত সদস্যরা কয়েকটি মৌলিক আইনবিধি ঘোষণা করে তৃতীয় শ্রেণির সমর্থন লাভের চেষ্টা করে। এই মৌলিক আইনবিধিতে বলা হয় যে,

  • (১) রাজতন্ত্র বংশানুক্রমিক,
  • (২) করধার্যের অধিকার আছে একমাত্র স্টেটস্ জেনারেলের,
  • (৩) লেটারস দ্য ক্যাশে (Letters de Cachet) দ্বারা নাগরিকদের ইচ্ছামতো গ্রেপ্তার অবৈধ,
  • (৪) বিচারকদের ইচ্ছামতো অপসারণ অবৈধ,
  • (৫) প্রদেশগুলির প্রাচীন অধিকার অলঙ্ঘনীয়।

(ছ) নতুন আদালত স্থাপন

এর প্রতিবাদে ক্রুদ্ধ রাজা পার্লামেন্টের দুই প্রতিবাদী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন, সব কটি প্রাদেশিক পার্লামেন্টকে মুলতুবি করেন এবং ৫৭টি নতুন আদালত স্থাপন করে প্রস্তাবিত সংস্কারগুলিকে আইনে পরিণত করেন।

অভিজাত বিদ্রোহ

এর প্রতিবাদে ফ্রান্সের যত্রতত্র বিদ্রোহ দেখা দেয়। দ্যাফিনে, দুজোঁ, তুলোঁ প্রভৃতি স্থানে দাঙ্গা শুরু হয়। সমগ্র অভিজাত শ্রেণি সংঘবদ্ধ হয়ে যায়। তাদের সঙ্গে যাজক ও বুর্জোয়াদের যোগদানে এই বিদ্রোহ গণ-বিদ্রোহের রূপ ধারণ করে। এই বিদ্রোহ অভিজাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

রাজার নতি স্বীকার

১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দের ২১শে জুলাই অভিজাত, উচ্চ যাজক ও বুর্জোয়া প্রতিনিধিরা ভিজিলে নামক স্থানে এক সভায় মিলিত হয়ে স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন ডাকার দাবি জানায়। বিদ্রোহের ব্যাপকতায় ষোড়শ লুই নতি স্বীকারে বাধ্য হন।

অভিজাত বিদ্রোহ জয়যুক্ত

প্যারিসের পার্লামেন্ট পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, বিচারালয় কর্তৃক প্রবর্তিত সংস্কারগুলি বাতিল হয়, ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে আগস্ট ব্রিয়াঁ পদত্যাগ করেন ও নেকার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন এবং রাজা ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা মে স্টেটস জেনারেল আহ্বানের প্রতিশ্রুতি দেন। এইভাবে অভিজাত বিদ্রোহ জয়যুক্ত হয়।

অভিজাত বিপ্লবের গুরুত্ব

রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভিজাত সম্প্রদায়ের এই বিদ্রোহ ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই আন্দোলনকে ঐতিহাসিক রুদে এবং মাতিয়ে ‘অভিজাত বিদ্রোহ’ এবং ঐতিহাসিক লেফেভর ‘অভিজাত বিপ্লব’ বলে অভিহিত করেছেন।

(১) স্বৈরতন্ত্র দুর্বল

একটি প্রতিক্রিয়াশীল অভিজাত অভ্যুত্থান হিসেবে শুরু হলেও অচিরেই এই আন্দোলন গণ-আন্দোলনের রূপ ধারণ করে। রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ফলে রাজতন্ত্রের মর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রাজার ঈশ্বরদত্ত ক্ষমতা ও স্বৈরতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

(২) অভিজাতদের জয়লাভ

ঐতিহাসিক লেফেভর বলেন যে, “ফরাসি বিপ্লবের প্রথম পর্বে অভিজাতরাই বিপ্লব শুরু করে এবং জয়ী হয়।” এই মত সত্য। অভিজাত সম্প্রদায় মনে করেছিল যে, স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন আহুত হলেই বোধহয় রাজকীয় স্বৈরাচার বন্ধ হবে এবং তাদের চিরাচরিত অধিকার টিকে থাকবে।

(৩) পুরাতনতন্ত্র দুর্বল

আন্দোলনের চাপে রাজা স্টেস্টস জেনারেলের অধিবেশন ডাকতে বাধ্য হন, এবং এর ফলে অভিজাতরা জয়যুক্ত হয়। কিন্তু এরই মধ্যে লুকিয়েছিল পুরাতনতন্ত্রের মৃত্যুবাণ। রাজতন্ত্রকে দুর্বল করতে গিয়ে অভিজাতরা পুরাতনতন্ত্রকেই দুর্বল করে ফেলে। রাজতন্ত্রের অস্তিত্বের উপরেই যে তাদের বিশেষ অধিকারের অস্তিত্ব নির্ভরশীল – এই সত্যটি তারা তখনও উপলব্ধি করতে পারেনি।

উপসংহার:- ফরাসি বিপ্লবের সূচনা করেছিল অভিজাতরা। প্রথম পর্বে তারাই ছিল নায়ক, সহযোদ্ধা ছিল বুর্জোয়ারা। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে নেতৃত্ব পুরোপুরি চলে যায় বুর্জোয়াদের হাতে এবং শেষ পর্বে এতে যোগ দেয় কৃষক শ্রেণি। তাই সেতোব্রিয়াঁ বলেন “প্যাট্রিশিয়ান বা অভিজাতরা বিপ্লবের সূচনা করে, প্লিবিয়ান বা তৃতীয় শ্রেণি এই বিপ্লবকে সম্পূর্ণ করে।

(FAQ) ফ্রান্সে সংঘটিত অভিজাত বিপ্লব সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. রাজা ষোড়শ লুই কবে সিংহাসনে আরোহণ করেন?

১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে।

২. অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে রাজা কোন কোন মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন?

তুর্গো, নেকার, ক্যালোন ও ব্রিয়াঁ।

৩. রাজা ষোড়শ লুই স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন আহ্বানের প্রতিশ্রুতি দেন কবে?

১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১ মে।

৪. রাজা ষোড়শ লুইয়ের রাজত্বকালে ফ্রান্সে কোন বিপ্লব সংঘটিত হয়?

ফরাসি বিপ্লব।

Leave a Comment