সোমপ্রকাশ পত্রিকা

আজ সোমপ্রকাশ পত্রিকা -র প্রকাশকাল, সম্পাদক, পত্রিকা প্রকাশের প্রেক্ষাপট, পত্রিকার বৈশিষ্ট্য, প্রকাশনা বন্ধের কারণ, প্রকাশনার বিভিন্ন দিক, ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রকাশ কাল, সোমপ্রকাশ পত্রিকার বিষয়বস্তু, সোমপ্রকাশ পত্রিকার মূল্য, সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক, সোমপ্রকাশ পত্রিকা প্রকাশের প্রেক্ষাপট, সোমপ্রকাশ পত্রিকার বৈশিষ্ট্য, সোমপ্রকাশ পত্রিকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব, ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে সোমপ্রকাশ পত্রিকার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

সাপ্তাহিক সোমপ্রকাশ পত্রিকা

পরিচিতিসাপ্তাহিক পত্রিকা
প্রকাশকাল১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ
সম্পাদকদ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
প্রকাশনা স্থানসিদ্ধেশ্বর লেন, চাঁপাতলা
সোমপ্রকাশ পত্রিকা

ভূমিকা :- উনিশ শতকে প্রকাশিত সংবাদপত্র গুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্রিকা ছিল “সোমপ্রকাশ” পত্রিকা।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রকাশ কাল

সিদ্ধেশ্বর লেন, চাঁপাতলা থেকে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ নভেম্বর সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি  প্রথম প্রকাশিত হয়।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার ধরণ

সাপ্তাহিক সোমপ্রকাশ ছিল একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। প্রতি সোমবার এই পত্রিকা প্রকাশিত হত বলে এর নাম “সোমপ্রকাশ”।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার বিষয়বস্তু

সাপ্তাহিক সোমপ্রকাশ পত্রিকাই ছিল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম রাজনৈতিক সংবাদপত্র। উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সংবাদ এবং নানা প্রবন্ধ এই পত্রিকা অত্যন্ত নির্ভিক ভাবে প্রকাশ করত।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার মূল্য

সাপ্তাহিক সোমপ্রকাশ পত্রিকার মাসিক মূল্য ছিল ১ টাকা। তবে পাঠকরা একবছরের জন্য এই পত্রিকার গ্রাহক হতে গেলে বার্ষিক ১০ টাকা দিতে হত।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক

প্রাচীন সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে তিন জন সম্পাদক যুক্ত ছিলেন।

  • (১) সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষন।
  • (২) সোমপ্রকাশের  দ্বিতীয় সম্পাদক ছিলেন মোহনলাল বিদ্যাবাগীশ।
  • (৩) তৃতীয় পর্যায়ে সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষনের পুত্র উপেন্দ্রকুমার।

সোমপ্রকাশ পত্রিকা প্রকাশের প্রেক্ষাপট

ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সোমপ্রকাশের মতো একটি পত্রিকা আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে দুটি ঐতিহাসিক ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।

(ক) সংবাদপত্রের জগতে শূন্যতা পূরণে সোমপ্রকাশ পত্রিকা

  • (১) সোমপ্রকাশ উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয়েছিল, যখন বাংলা সংবাদপত্রের জগতে এক গভীর শূন্যতা নেমে এসেছিল।
  • (২) সোমপ্রকাশ পত্রিকার আগে বাংলাতে “সংবাদ প্রভাকর” যথেষ্ট জনপ্রিয় হলেও, ঈশ্বর গুপ্ত -এর মৃত্যুর পরে পত্রিকার জনপ্রিয়তা, খ্যাতি ও মান সবকিছুই কমে যায়।
  • (৩) উক্ত সময়ে অক্ষয় কুমার দত্ততত্ত্ববোধিনী পত্রিকা” থেকে অবসর নিলে সোমপ্রকাশ পত্রিকার গুনমানেও যথেষ্ট ভাঁটা পড়ে।
  • (৪) “সমাচার চন্দ্রিকা” “সমাচার ভাস্কর”, ইত্যাদি পত্রিকা গুলিও তাদের পূর্বগৌরব হারিয়ে ফেলেছিল।
  • (৫) সুতরাং সমকালীন সময়ের চাহিদা পূরনের লক্ষ্যেই যে সোমপ্রকাশ পত্রিকার আবির্ভাব ঘটেছিল, এই বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।

(খ) সোমপ্রকাশ পত্রিকা প্রকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা

সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রথম পরিকল্পক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। শিবনাথ শাস্ত্রী রচিত “রামতনু লাহিড়ি ও তৎকালীন বঙ্গ সমাজ” গ্রন্থ থেকে জানা যায়, সারদা প্রসাদ নামে এক বধির ব্রাহ্মনের ভরন পোষনের খরচ জোগাড় করার জন্য বিদ্যাসাগর এই পত্রিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করেন এবং এর ভার দেন সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষনের হাতে।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার আত্মপ্রকাশ

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষনের হাত ধরেই ১৮৫৮ খ্রিঃ সোমপ্রকাশ পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

সোমপ্রকাশ পত্রিকা প্রকাশনার বিভিন্ন দিক

  • (১) ১৮৫৮ খ্রিঃ কোলকাতার সিদ্ধেশ্বর লেন, চাঁপাতলা থেকে দ্বারকানাথ প্রথম সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি প্রকাশ করেন।
  • (২) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষন ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে নিজের গ্রাম চব্বিশ পরগনার চিংড়িপোতায় একে স্থানান্তরিত করেন।
  • (৩) ১৮৬৫ খ্রিঃ দ্বারকানাথ কিছুকালের জন্য সোমপ্রকাশের সম্পাদকের ভার মোহনলাল বিদ্যাবাগীশের হাতে দেন। কারণ, এই সময় সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপনার কাজ নিয়ে তিনি খুবই ব্যস্ত ছিলেন।
  • (৪) শেষের দিকে দ্বারকানাথের পুত্র উপেন্দ্রকুমার সোমপ্রকাশের সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করতেন। এইসময় দ্বারকানাথ বাইরে থেকে সম্পাদকীয় পাঠাতেন।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা

নির্ভিক সাংবাদিকতার জন্য শেষপর্যন্ত সোমপ্রকাশের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে আসে।

  • (১) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড লিটন সংবাদপত্রের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রন আরোপ করার জন্য ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট জারি করলে সোমপ্রকাশ পত্রিকা তার তীব্র প্রতিবাদ করে। ফলে সরকার যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়।
  • (২) দ্বিতীয় আফগান যুদ্ধের সময় (১৮৭৮ – ৮০) ১৮৭৯ খ্রিঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি, সোমপ্রকাশ পত্রিকার কাবুল সংবাদদাতা প্রকাশ করেন যে, ব্রিটিশ সৈন্য কাবুল আক্রমন করে তা দখল করে নেবে।
  • (৩) এই সংবাদ পড়ে লর্ড লিটন প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন এবং ১৮৭৯ খ্রিঃ ১০ মার্চ সোমপ্রকাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চব্বিশ পরগনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।
  • (৪) এরপর সোমপ্রকাশ পত্রিকার বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং ১০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রায় একবছর সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ থাকে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের সোমপ্রকাশ পত্রিকা

  • (১) একবছর পর মুচলেকার বিনিময়ে ১৮৮০ খ্রিঃ দ্বিতীয় পর্যায়ে সোমপ্রকাশ পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
  • (২) একবছর এই পত্রিকা বন্ধ থাকায় এর পাঠক সংখ্যা ও জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যে অনেক কমে যায়। দ্বারকানাথের মৃত্যুর পরও সোমপ্রকাশ তার নির্ভিকতা ও প্রতিবাদী জায়গা থেকে একচুল বিচ্যুত হয় নি।
  • (৩) এই সময় সোমপ্রকাশ পত্রিকা ইলবার্ট বিল আন্দোলন -এর সমর্থনে জনমত গঠনের চেষ্টা করে এবং ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাকে “এক নতুন শক্তির আবির্ভাব” বলে অভিহিত করে।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার বৈশিষ্ট্য

সোমপ্রকাশ পত্রিকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল। যেমন –

(১) সোমপ্রকাশ পত্রিকার শোভনতা ও শালীনতা

সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল শোভনতা ও শালীনতা। এই দুটি দিক বজায় রেখেই সোমপ্রকাশ সমকালীন সময়ের অন্যায় ও ত্রুটি বিচ্যুতির দিক গুলিকে তীব্র ভাবে সমালোচনা করেছিল।

(২) সোমপ্রকাশ পত্রিকার উদার নৈতিক মতাদর্শ

সোমপ্রকাশ পত্রিকার মতাদর্শ ছিল উদারনৈতিক। এর দ্বারা সোমপ্রকাশ পত্রিকা একদিকে যেমন হিন্দু ও ব্রাহ্মধর্মের মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চালিয়েছিল, তেমনি অন্যদিকে বিধবা বিবাহের মতো প্রগতিশীল সমাজ সংস্কারকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবার স্বপক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখেছিল।

(৩) সোমপ্রকাশ পত্রিকার রাজনৈতিক সচেতনতা

সমকালীন পত্রিকা গুলির চাইতে সোমপ্রকাশ অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন ছিল। ভারত সভার প্রতিষ্ঠা, ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট, ইলবার্ট বিল, ভারতে ইংরেজ শাসনের নানা দোষত্রুটি ইত্যাদি প্রবন্ধ ও সংবাদ পরিবেশন করে সোমপ্রকাশ পত্রিকা জনগনের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতার প্রচার করেছিল।

(৪) সোমপ্রকাশ পত্রিকার বিজ্ঞানমনস্কতা ও জাতীয়তাবাদী চরিত্র

সোমপ্রকাশ পত্রিকা ভারত -এ বিজ্ঞান চর্চার প্রাসঙ্গিকতার বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিল। ইংরেজ শাসনে ভারতবাসীর হিতকর বিষয় গুলির বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিলো। অন্যান্য সংবাদপত্র গুলির সঙ্গে একসঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে মাতৃভাষায় শিক্ষার প্রসারেও সোচ্চার হয়েছিল।

(৫) সোমপ্রকাশ পত্রিকার প্রতিবাদী চরিত্র

সোমপ্রকাশ পত্রিকার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল তার প্রতিবাদী চরিত্র। সোমপ্রকাশ নির্ভিক ভাবে নীল চাষীদের ওপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ভারতে ইংরেজদের আইনি শাসনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসন ও বিচার পদ্ধতিরও কঠোর সমালোচনা করেছিল।

সোমপ্রকাশ পত্রিকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব

  • (১) সোমপ্রকাশ পত্রিকা ছিল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম রাজনৈতিক পত্রিকা।
  • (২) একটি পত্রিকা কিভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রেরনা আনতে পারে, নির্ভিক ভাবে প্রতিবাদ করতে পারে অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে, সোমপ্রকাশ পত্রিকাই তা প্রথম দেশবাসীর কাছে তুলে ধরে।
  • (৩) সোমপ্রকাশ পত্রিকা আগেকার সাহেবি বাংলা, মৈথিলি বাংলা এবং সংস্কৃত বাংলা ভেঙ্গে চুরে বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা চালু করে। বাংলা ভাষার বিকাশ ও বিবর্তনের ক্ষেত্রে এ এক বিরাট অবদানের দিক।
  • (৪) বিধবা বিবাহ, নারী শিক্ষা প্রভৃতি বিষয় গুলিতে উনিশ শতকে বাঙালি সমাজের মানসিকতা কোন দিকে পরিচালিত হয়েছিল, তা জানতে সোমপ্রকাশ পত্রিকা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে কাজ করে।
  • (৫) সোমপ্রকাশ পত্রিকার মধ্য দিয়ে উনিশ শতকের বাঙালি মনীষার প্রতিবাদী চরিত্রকে অনুসন্ধান করা যায়। এর সবথেকে বড়ো ঐতিহাসিক মূল্য এখানেই।

ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে সোমপ্রকাশ পত্রিকার গুরুত্ব

উনিশ শতকের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে সোমপ্রকাশ পত্রিকার গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম।

(১) রাজনৈতিক ইতিহাসের উপাদান সোমপ্রকাশ পত্রিকা

সোমপ্রকাশ পত্রিকা ছিল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম রাজনৈতিক সংবাদপত্র। খুব স্বাভাবিক ভাবেই উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা, যেমন – সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রন আইন, ভারত সভার প্রতিষ্ঠা, ইলবার্ট বিল আন্দোলন, ভারতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।

(২) সামাজিক ইতিহাস রচনার উপাদান সোমপ্রকাশ পত্রিকা

এই পত্রিকায় নীলচাষীদের দুরাবস্থা, বিধবা বিবাহ, নারী শিক্ষা, ব্রাহ্ম আন্দোলন ইত্যাদি সামাজিক ঘটনা গুলি সম্পর্কেও নানা তথ্য পাওয়া যায়।

(৩) সোমপ্রকাশ পত্রিকায় বাংলা ভাষার বিবর্তন

সোমপ্রকাশ পত্রিকা আগেকার সাহেবি বাংলা, মৈথিলি বাংলা এবং সংস্কৃত বাংলা ভেঙ্গে চুরে বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা চালু করে। বাংলা ভাষার বিকাশ ও বিবর্তনের ক্ষেত্রে এ এক বিরাট অবদানের দিক। তাই সোমপ্রকাশ পত্রিকা থেকে বাংলা ভাষার বিবর্তনের নানা দিক সম্পর্কেও ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

(৪) সোমপ্রকাশ পত্রিকার তথ্যের নির্ভর যোগ্যতা

উনিশ শতকে অন্যান্য পত্র পত্রিকার মতো সোমপ্রকাশ কখনোই সরকারের কাছে নতি স্বীকার করে নি। অত্যন্ত নির্ভিক ও বলিষ্ঠ ভাবে সোমপ্রকাশ সংবাদ পরিবেশন করত। ফলে একপেশে, বিকৃত ও পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন কখনোই সোমপ্রকাশ পত্রিকা করত না।

উপসংহার :- ঐতিহাসিকরা উনিশ শতকের অন্যান্য পত্রিকা গুলির থেকে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে সোমপ্রকাশ পত্রিকাকে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “সোমপ্রকাশ পত্রিকা” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যেকোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) সোমপ্রকাশ পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ।

২. সোমপ্রকাশ পত্রিকা কবে প্রথম প্রকাশিত হয়?

১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ নভেম্বর।

৩. পত্রিকার নাম সোমপ্রকাশ রাখা হয় কেন?

সোমবার প্রকাশিত হত বলে।

Leave a Comment