সাইমন কমিশন (saimon komison in bengali)

সাইমন কমিশন (saimon komison in bengali) -এর গঠন সম্পর্কে ঘোষণা, কমিশনের নাম, কাজ, কমিশন গঠনের কারণ, ভারতীয় সদস্য হীন, কমিশন, জাতীয় অপমান, বয়কটের সিদ্ধান্ত, বয়কটের আহ্বান, জিন্নাহর প্রতিবাদ, যৌথ ইস্তাহার প্রকাশ, দেশবাসীর কাছে আবেদন, কমিশনের ভারতে আগমন, কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, কালো পতাকার মিছিল, কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ ও তার তাৎপর্য সম্পর্কে জানবো।

সাইমন কমিশন প্রসঙ্গে সাইমন কমিশন কি, সাইমন কমিশন গঠন, সাইমন কমিশন গঠনকাল, সাইমন কমিশন গঠনের কারণ, সাইমন কমিশনের নেতৃত্বে স্যার জন সাইমন, সাইমন কমিশনের ভারতে আগমন, সাইমন কমিশনের ভারতে আসার কারণ, সাইমন কমিশনের সাত জন সদস্য, সাইমন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ, সাইমন কমিশনের উদ্দেশ্য, সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের ক্ষোভের কারণ, সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলন ও তার তাৎপর্য।

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের সাইমন কমিশন (saimon komison in bengali)

বিষয়সাইমন কমিশন
গঠন৮ নভেম্বর, ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ
সদস্য৭ জন ব্রিটিশ সাংসদ
নেতৃত্বস্যার জন সাইমন
ভারত -এ আগমন৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ
সাইমন কমিশন

ভূমিকা :- সাইমন কমিশন বা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটু্টরি কমিশন রিপোর্ট বা ভারতীয় সংবিধানিক কমিশন ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাতজন সদসবৃন্দের দ্বারা গঠিত কমিশন, যারা ১৯২৭ সালে ভারতের সংবিধানিক পুনর্গঠন অধ্যয়ন করতে এসেছিলেন।

সাইমন কমিশন গঠন সম্পর্কে ঘোষণা

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই নভেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতের শাসন সংস্কার পর্যালোচনার জন্য ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটুটরি কমিশন’ গঠনের কথা ঘোষণা করে।

সাইমন কমিশন গঠন

খ্যাতনামা ইংরেজ আইনজ্ঞ, উদারনৈতিক বুদ্ধিজীবী ও শ্রমিক দলের সাংসদ স্যার জন সাইমন -এর নেতৃত্বে সাতজন ব্রিটিশ সাংসদকে নিয়ে কমিশন গঠিত হয়।

সাইমন কমিশনের নামকরণ

কমিশনের নেতা স্যার জন সাইমনের নাম অনুসারে এই কমিশনের নাম হয় সাইমন কমিশন।

সাইমন কমিশননের কাজ

এই কমিশনের কাজ ছিল ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত মন্ট-ফোর্ড শাসন সংস্কারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা এবং ভারতের ভবিষ্যৎ শাসনতান্ত্রিক সংস্কার সম্পর্কে প্রস্তাব দেওয়া।

রাজকীয় সাইমন কমিশন নিয়োগ

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কারের একটি ধারায় বলা হয়েছিল যে, এই আইনের কার্যকারিতা সম্বন্ধে অনুসন্ধানের জন্য দশ বছর পর একটি রাজকীয় কমিশন নিযুক্ত হবে।

সাইমন কমিশন গঠনের কারণ

রাজকীয় কমিশন নিয়োগের পূর্বেই ভারতীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য এই কমিশন গঠিত হয়। এর পশ্চাতে কয়েকটি কারণ ছিল।

(১) মন্টেগু চেমসফোর্ড আইনের দুর্বলতা

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইন ভারতবাসীকে খুশি করতে পারে নি। এই আইন ছিল ‘অপ্রতুল ও হতাশাব্যঞ্জক। সুতরাং শুরু থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়।

(২) গোলটেবিল বৈঠকের প্রস্তাব

১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে স্বরাজ্য দল -এর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় আইনসভায় শাসন সংস্কারের জন্য একটি গোল টেবিল বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

(৩) জাতীয় দাবিপত্র পেশ

১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বরাজ্য দল শাসন সংস্কারের জন্য একটি জাতীয় দাবিপত্র পেশ করে।

(৪) মুসলিম লীগের দাবি

১৯২৬ সালে মুসলিম লীগ -এর পক্ষ থেকেও অনুরূপ দাবি ওঠে।

(৫) জাতীয় কংগ্রেসের সাফল্য

১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে প্রবল অন্তর্দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের সাফল্য বড়লাট লর্ড আরউইনকে শঙ্কিত করে।

(৬) ব্রিটেনে নির্বাচন

১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড -এ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে রক্ষণশীল দলভুক্ত ভারত সচিব লর্ড বার্কেনহেড উপলব্ধি করেন যে আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দলের পরাজয় এবং শ্রমিক দলের জয় অনিবার্য।

(৭) শ্রমিক দলের সহানুভূতি

ভারতীয় দাবি-দাওয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল শ্রমিক দল ক্ষমতায় এলে ভারতে ব্রিটিশ-স্বার্থ বিপন্ন হবে।

(৮) কর্মপদ্ধতি নির্দিষ্টকরণ

বার্কেনহেডের পরামর্শে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পূর্বেই একটি কমিশন গঠন করে তার সুপারিশ মত কার্যপদ্ধতি গ্রহণ করে শ্রমিক দলের কর্মপদ্ধতি নির্দিষ্ট করে দেবার পথ ধরেন।

(৯) সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা

হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষও সাইমন কমিশন গঠনের অন্যতম কারণ। ব্রিটিশ সরকার মনে করে যে, দাঙ্গা চলাকালে কমিশন গঠন করলে কমিশন তার প্রতিবেদনেও এই দাঙ্গার চিত্র তুলে ধরবে, যা ব্রিটিশ সরকারের স্বার্থের অনুকূল হবে।

(১০) যুব আন্দোলন

অধ্যাপক এ. বি. কীথ বলেন যে, জওহরলাল নেহরু ও সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে পরিচালিত যুব আন্দোলন -এ শঙ্কিত হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই এই কমিশন গঠিত হয়।

ভারতীয় সদস্য হীন সাইমন কমিশন

কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই এর বিরুদ্ধে সমগ্র ভারতে প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে কোন ভারতীয় সদস্য ছিল না।

সাইমন কমিশন ভারতের জাতীয় অপমান

ভারতের সংবিধান তৈরির দায়িত্ব একমাত্র ভারতবাসীরই প্রাপ্য, অথচ কেবলমাত্র ইংরেজদের নিয়ে গঠিত এই ‘শ্বেতাঙ্গ-সর্বস্ব’ কমিশন অনুসন্ধানের দ্বারা স্থির করবে যে, ভারত দায়িত্বশীল সরকার গঠনের উপযুক্ত হয়েছে কিনা তা ভারতবাসীর কাছে ‘জাতীয় অপমান” বলে প্রতিভাত হয়।

সাইমন কমিশন বয়কটের সিদ্ধান্ত

মাদ্রাজের ‘জাস্টিস পার্টি এবং পাঞ্জাবের ‘ইউনিয়ানিস্ট দল’ ব্যতীত ভারতের সব রাজনৈতিক দল ও সংঘ-ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, হিন্দু মহাসভা, ভারতের বণিক ফেডারেশন, ভারতের মিল মালিক সংঘ—এমনকী নরমপন্থী লিবারেল ফেডারেশনও এই কমিশন বয়কট -এর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।

সাইমন কমিশন বয়কটের আহ্বান

কংগ্রেস সভাপতি শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার ১৪ ই নভেম্বর এই কমিশন বয়কটের আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি তিনটি কারণের উল্লেখ করেন। যেমন –

  • (১) সংবিধান রচনারভারতের জন্য সংবিধান রচনার একমাত্র অধিকারী ভারতবাসী। সর্বদলীয় গোলটেবিল বৈঠক বা সংবিধান সভা আহ্বানের মাধ্যমে এই সংবিধান রচিত হতে পারে। সংবিধান রচনার জন্য কমিশন গঠনের অর্থ হল ভারতবাসীকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।
  • (২) কোনো ভারতীয়কে এই কমিশনের সদস্য না করে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতবাসীর জাতীয় মর্যাদায় আঘাত হেনেছে।
  • (৩) ভারতবাসী দায়িত্বশীল সরকার গঠনের উপযুক্ত হয়েছে কিনা তা বিচারের দায়িত্ব ভারতের সঙ্গে সম্পর্কহীন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কোনো কমিশনের ওপর থাকতে পারে না।

সাইমন কমিশন গঠনের বিরুদ্ধে জিন্নার প্রতিবাদ

১৬ ই নভেম্বর সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতি মারফৎ মহম্মদ আলি জিন্না সাইমন কমিশন গঠনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে যৌথ ইস্তাহার প্রকাশ

জিন্না, তেজবাহাদুর সপ্রু, শ্রীমতী বেশাস্ত, আলি ইমাম, চিমনলাল শীতলাবাদ, আব্দুল রহিম, শিবস্বামী আয়ার প্রমুখ বিশিষ্ট নেতৃবর্গ এক যৌথ ইস্তাহার প্রকাশ করে দেশবাসীকে এই কমিশন বয়কটের আহ্বান জানান।

সাইমন কমিশন সম্পর্কে লিবারেল ফেডারেশনের অভিমত

সরকারি নীতির সমর্থক ন্যাশনাল লিবারেল ফেডারেশনও এক প্রস্তাবে সাইমন কমিশনকে ‘ভারতীয় জনগণের প্রতি ইচ্ছাকৃত অপমান’ বলে অভিহিত করে।

কংগ্রেসের মাদ্রাজ অধিবেশন

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী মুসলিম নেতা ডাঃ এম. এ. আনসারী-র সভাপতিত্বে মাদ্রাজে জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন বসে।

সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে দেশবাসীর কাছে আবেদন

মাদ্রাজ অধিবেশনে জাতীয় কংগ্রেস দেশবাসীর কাছে  আবেদন করেন যে,

  • (১) সর্বস্তরে ও সর্ব উপায়ে কমিশনকে বয়কটের আহ্বান জানায়।
  • (২) বলা হয় যে, কমিশনের সদস্যরা যেদিন ভারতে পদার্পণ করবে সেদিন সারা ভারতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে।
  • (৩) কমিশনের সদস্যরা যখন যে শহরে যাবে সেখানে কমিশনের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানো হবে।
  • (৪) কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলির সদস্যদের অনুরোধ করা হয় যে, তাঁরা যেন কমিশনের সঙ্গে কোনোপ্রকার সহযোগিতা না করেন।

সাইমন কমিশনের ভারতে আগমন

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের সাইমন কমিশন গঠনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় রাজনীতি আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। প্রবল উত্তেজনাময় এক পরিস্থিতিতে ১৯২৮ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি সাইমন কমিশন ভারতে আসে।

সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের সাইমন কমিশন বোম্বাই শহরে পদার্পণ করলে ভারতের সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মানুষ ‘সাইমন ফিরে যাও’ (‘Go back Simon) লেখা কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয়।

সাইমন কমিশনকে ধিক্কার

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের সাইমন সাইমন ফিরে যাও ধ্বনিতে সারা দেশ প্রতিবাদ-মুখর হয়ে ওঠে। সেদিন সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের টোপটি বেলাভূমিতে ৫০ হাজার মানুষের এক বিশাল জনসভায় এই কমিশনের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানো হয়।

লালা লাজপৎ রায়ের সাইমন কমিশন বয়কটের প্রস্তাব

১৬ই ফেব্রুয়ারি লালা লাজপৎ রায় কেন্দ্রীয় আইনসভায় সাইমন কমিশন বয়কটের প্রস্তাব উত্থাপন করলে ‘বন্দেমাতরম্’ ধ্বনির মাধ্যমে তা বিপুলভাবে অভিনন্দিত হয়।

সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে কালো পতাকার মিছিল

কলকাতা, দিল্লী, পাটনা, মাদ্রাজ, লাহোর, লক্ষ্ণৌ, বিজয়বাড়া, পুণে যেখানেই সাইমন কমিশন গেছে সেখানেই হাজার হাজার মানুষ কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়েছে।

সাইমন ফিরে যাও লেখা ঘুড়ি ও বেলুন ওড়ানো

লক্ষ্ণৌ -এ কমিশনের সদস্যদের জন্য আয়োজিত এক সম্বর্ধনা স্থলে খালিকুজ্জমানের নেতৃত্বে যুবকরা ‘সাইমন ফিরে যাও’ লেখা ঘুড়ি ও বেলুন ওড়ায়।

সাইমন কমিশন বিক্ষোভ মিছিলে লালা লাজপত রায়ের মৃত্যু

লাহোরে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালনা করতে গিয়ে ১৯২৮ সালের ৩০শে অক্টোবর শ্রদ্ধেয় ও বৃদ্ধ জননেতা লালা লাজপৎ রায় পুলিশের হাতে নির্মমভাবে প্রহৃত হন। তাঁর বুকে প্রচণ্ড আঘাত লাগে এবং ১৭ই নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।

সাইমন কমিশন বিক্ষোভ মিছিলে জওহরলাল নেহেরুকে প্রহার

লক্ষ্ণৌ শহরে পুলিশের হাতে প্রহৃত হলেন জওহরলাল নেহরু ও গোবিন্দ বল্লভ পন্থ।

সাইমন কমিশন বিরোধী ছাত্র ফেডারেশন গঠন

ছাত্র যুবক ও শ্রমিকরা এই আন্দোলনে এক তাৎপর্যময় ভূমিকা গ্রহণ করে। এই আন্দোলন থেকেই জন্ম নেয় ‘ভারতের ছাত্র ফেডারেশন, যার লক্ষ্য হল ছাত্রদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ও সমাজবাদী চেতনার বিস্তার ঘটানো।

সাইমন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ

ভারতীয়দের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও কমিশন তদন্তকার্য চালায় এবং ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন রচিত হয়।

সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনের তাৎপর্য

হতাশাগ্রস্ত জাতীয় জীবনের এক অন্ধকারময় দিনে সাইমন কমিশন-বিরোধী আন্দোলন জাতীয় জীবনে এক প্রবল প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

  • (১) কেবলমাত্র জাতীয় কংগ্রেসই নয় ভারতের সকল রাজনৈতিক দল এবং শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-যুব ও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে এই আন্দোলন এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।
  • (২) বলা বাহুল্য, তখন জাতীয় জীবনে যে গণ-উদ্দীপনা ও ব্রিটিশ বিরোধী উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছিল জাতীয় নেতৃবৃন্দ তার সুযোগ গ্রহণে ব্যর্থ হন।

উপসংহার :- সুভাষচন্দ্র বসুর মতে ১৯২৮ সালই ছিল ব্যাপক গণ-আন্দোলন শুরু করার উপযুক্ত সময়। কারণ, ১৯৩০ সাল অপেক্ষা ১৯২৮ সালেই জনগণের উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল প্রবল। এই সুযোগ গ্রহণ না করার জন্য তিনি গান্ধীজিকংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে দোষারোপ করেছেন।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “সাইমন কমিশন” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের সাইমন কমিশন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. সাইমন কমিশন কবে কেন গঠিত হয়?

নভেম্বর ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সংবিধান সংস্কার অধ্যয়নের জন্য।

২. সাইমন কমিশনে কতজন সদস্য ছিলেন?

৭ জন।

৩. কার নেতৃত্বে সাইমন কমিশন গঠিত হয়?

স্যার জন সাইমনের নেতৃত্বে।

৪. সাইমন কমিশন কবে ভারতে আসে?

৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে।

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি

Leave a Comment