ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে বিপ্লবের প্রাণকেন্দ্র, বিপ্লবে গৌরবময় ভূমিকা, তিনটি বৈশিষ্ট্য, অস্ট্রিয়ায় প্রভাব, হাঙ্গেরিতে প্রভাব, বোহেমিয়ায় প্রভাব, ইতালিতে প্রভাব, জার্মানিতে প্রভাব, অন্যান্য দেশে প্রভাব ও বিপ্লব একেবারেই ব্যর্থ নয় সম্পর্কে জানবো।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া

ঐতিহাসিক ঘটনাইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া
ফেব্রুয়ারি বিপ্লব১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ
বিপ্লবের বৎসর১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ
হাঙ্গেরির ম্যাৎসিনিলুই কসুথ
মেটারনিখের পদত্যাগ১৩ মার্চ, ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া

ভূমিকা:- ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দকে ‘বিপ্লবের বৎসর’ বলে অভিহিত করা হয়। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ফ্রান্স -এ শুরু হলেও অচিরেই তা দাবানলের মতো ইউরোপ-এর বিভিন্ন দেশেছড়িয়ে পড়ে।

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রাণকেন্দ্র

অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, ইতালি, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি অন্তত পনেরোটি দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ঢেউ লাগে এবং এইসব দেশের রাজধানী শহরগুলিই ছিল এই বিপ্লবের প্রাণকেন্দ্র।

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবে গৌরবময় ভূমিকা

এই বিপ্লবে বিভিন্ন দেশের রাজধানী শহর ভিয়েনা, প্রাগ, বুদাপেস্ত, বার্লিন, মিলান, রোম, ফ্লোরেন্সের ভূমিকা ছিল গৌরবময়।

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের তিনটি বৈশিষ্ট্য

বিভিন্ন দেশে এই বিপ্লবগুলির অন্তত তিনটি বৈশিষ্ট্য নজরে আসে-প্রাথমিক সাফল্য, এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া এবং পরে কিছু পরিবর্তন-সহ পুনরায় স্থিতাবস্থায় ফিরে আসা।

অস্ট্রিয়ায় ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব

  • (১) ফ্রান্সের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের সংবাদ অস্ট্রিয়ায় পৌঁছলে অস্ট্রিয়া সাম্রাজ্য-এর অন্তর্ভুক্ত হাঙ্গেরির বিখ্যাত নেতা লুই কসুথ ৩রা মার্চ ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে তীব্র ভাষায় অস্ট্রিয়ার অনুদার ও জাতীয়তাবাদ-বিরোধী নীতির সমালোচনা করেন। এর প্রতিক্রিয়া হয় তীব্রতর।
  • (২) মেটারনিখের দমননীতিতে বীতশ্রদ্ধ ছাত্র, শ্রমিক, বুর্জোয়া সাধারণ মানুষ উদারনৈতিক সংবিধান এবং ভোটাধিকারের দাবিতে ১৩ই মার্চ রাজধানী ভিয়েনাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ গড়ে ওঠে এবং সরকারি সম্পত্তি লুঠ হতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়।
  • (৩) শেষ পর্যন্ত প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে সরকারের সব প্রতিরোধ ভেঙে যায়। প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রতিমূর্তি অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার মেটারনিখ উপায় না দেখে পদত্যাগ করে ইংল্যান্ড -এ পালিয়ে যান (১৫ মার্চ)। দীর্ঘ ঊনচল্লিশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তাঁর পতন ঘটল।
  • (৪) তাঁর পদত্যাগে ইউরোপে ‘দুর্ভেদ্য’ মেটারনিখতন্ত্র -এর অবসান ঘটে (‘fall of a system hitherto impregnable’)। অধ্যাপক এ. জে. পি. টেলর (Taylor) ভিয়েনার এই অভ্যুত্থানকে বাস্তিল দুর্গের পতন -এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
  • (৫) অস্ট্রিয়ার সম্রাট প্রথম ফার্দিনান্দ বিপ্লবীদের দাবি মেনে নিয়ে একটি উদারনৈতিক সংবিধান ও জাতীয় সভা গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ১১ই এপ্রিল এক ‘ঘোষণাপত্র’ মারফত তিনি কৃষকদের বাধ্যতামূলক শ্রমদান থেকে মুক্তি দেন।
  • (৬) কৃষকেরা এই ঘোষণাপত্রটিকে ‘মুক্তির সনদ’ হিসেবে গ্রহণ করে। শেষ পর্যন্ত, এই উদ্যোগ সফল হয় নি। বিপ্লবীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও অন্যান্য কারণে ভিয়েনাতে আবার স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

হাঙ্গেরিতে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব

  • (১) হাঙ্গেরি অস্ট্রিয়া সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং উনিশ শতকের তৃতীয় দশক থেকে হাঙ্গেরির ম্যাৎসিনি’ লুই কসুথ (১৮০২-১৮৯৪ খ্রিঃ)-এর নেতৃত্বে সেখানে রাজনৈতিক সংস্কার ও জাতীয়তাবাদী চেতনার পক্ষে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়।
  • (২) ফ্রান্সের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব হাঙ্গেরিতে নতুন উন্মাদনার সৃষ্টি করে। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৩রা মার্চ লুই কসুথ হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ হানেন এবং সাংবিধানিক সংস্কারের দাবি জানান। এর ফল হয় মারাত্মক, গণ-উন্মাদনা নতুন স্তরে উপনীত হয়।
  • (৩) ১৩ই মার্চ মেটারনিখ পদত্যাগ করলে হাঙ্গেরির বিক্ষোভ বিস্ফোরণে পরিণত হয়। হাঙ্গেরি সংসদ একগুচ্ছ নতুন আইন প্রণয়ন করে, যা ‘মার্চ আইন’ নামে পরিচিত। এই আইনগুলি মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও ধর্মাচরণের স্বাধীনতা স্বীকৃত হয়, সামন্ত প্রথা অবলুপ্ত হয়।
  • (৪) অভিজাতদের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের কথা বলা হয়। স্থির হয় যে, অস্ট্রিয়ার সম্রাট হাঙ্গেরির নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হিসেবেই থাকবেন, প্রকৃত কর্তৃত্ব থাকবে হাঙ্গেরির সংসদের হাতে। ৩১শে মার্চ ভিয়েনা সরকার এই সংবিধান মেনে নেয়।
  • (৫) বাথিয়ানি-র নেতৃত্বে হাঙ্গেরিতে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় লুই কসুখ ছিলেন এই সরকারের অন্যতম সদস্য। এই সরকার কিন্তু বেশি দিন স্থায়ী নি। হাঙ্গেরিতে বসবাসকারী সার্ব, চেক, ক্রোয়েশিয়, শ্লোভাক, রুখেন প্রভৃতি জাতিগোষ্ঠীর মানুষরা কসুথের নেতৃত্বাধীন ম্যাগিয়ার জাতিগোষ্ঠীর কর্তৃত্ব মেনে নিতে রাজি ছিল না।
  • (৬) কেন্দ্রীয় প্রশাসনে ম্যাগিয়ারদের প্রাধান্য, ল্যাটিনের পরিবর্তে ম্যাগিয়ার ভাষাকে হাঙ্গেরির জাতীয় ভাষার স্বীকৃতি দান প্রভৃতিও তাদের ক্ষুব্ধ করে। অচিরেই অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
  • (৭) ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে কেন্দ্র করে ইতালিতে বিদ্রোহ শুরু হলে এবং বাথিয়ানি সরকার এই বিদ্রোহ দমনের জন্য সেনা পাঠিয়ে ভিয়েনা সরকারকে সাহায্য করলে সরকারের মধ্যেই গোলযোগ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত এই বিদ্রোহ দমিত হয় এবং হাঙ্গেরিতে অস্ট্রিয়ার আধিপত্য ফিরে আসে। লুই কসুথ ইংল্যান্ডে আশ্রয় নেন।

বোহেমিয়ায় ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব

  • (১) অস্ট্রিয়া সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বোহেমিয়ায় চেক জাতিগোষ্ঠী ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। শাসক জার্মানরা ছিল সংখ্যালঘু। চেকরা জার্মানদের সমান নাগরিক অধিকার, প্রতিনিধি সভায় সমান প্রতিনিধিত্ব, সমহারে কর প্রদান এবং শিক্ষালয় ও সরকারি কাজে জার্মান ভাষার পাশাপাশি চেক ভাষার সম-মর্যাদা দাবি করে।
  • (২) আন্দোলনের প্রাবল্যে ভিয়েনা সরকার এই দাবিগুলি মেনে নেয়। ইতিমধ্যে ফ্রান্তিসেক পালাকি (Frantisek Palaki)-র নেতৃত্বে চেকরা স্বাধীন চেক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখতে থাকে এবং এই উদ্দেশ্যে ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ২রা জুন প্রাগ শহরে একটি ‘সর্ব-স্লাভ সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়।
  • (৩) সম্মেলনে উপস্থিত স্লাভ জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত মোরাভিয়ান, পোল, ক্রোট, সার্ব, রুথেনিয়ান, সাইলেসিয়ান প্রভৃতি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল অনৈক্য ছিল। এই অবস্থায় অস্ট্রিয়ার সেনাপতি ভিন্দিগ্রাস-এর নেতৃত্বে বিশাল সেনাদল বোহেমিয়ার বিপ্লবীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের আন্দোলন দমিত হয় এবং পূর্বে প্রদত্ত তাদের সকল অধিকার বাতিল করা হয়।

ইতালিতে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব

  • (১) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা সম্মেলন -এ গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে ইতালি আবার ‘ভৌগোলিক সংজ্ঞা’-য় পরিণত হয়। লম্বার্ডি, ভেনেসিয়া, পার্মা, মডেনা, টাস্কানি ছিল অস্ট্রিয়ার অধীন। নেপলস্ ও সিসিলিতে ছিল বুরবোঁ আধিপত্য। পিডমন্ট-সার্ডিনিয়া ছিল স্বাধীন। রোম ছিল পোপের অধীনে।
  • (২) জুলাই বিপ্লব-এর সফলতার সংবাদে ইতালির সর্বত্র প্রবল গণ-আন্দোলন শুরু হয়। মিলানে আন্দোলন শুরু হলে অস্ট্রিয়ার ১৩ হাজার সেনা বিনাযুদ্ধে মিলান ত্যাগ করে। ভেনিসে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ড্যানিয়েল ম্যানিন-এর নেতৃত্বে গণ-বিক্ষোভের ফলে অস্ট্রিয় নৌ ও স্থলবাহিনী ভেনিস ত্যাগে বাধ্য হয়।
  • (৩) লম্বার্ডি ও ভেনেসিয়া-য় বিদ্রোহ শুরু হলে অস্ট্রিয়ার শাসকরা পলায়ন করেন। ম্যাসিনির নেতৃত্বে টাস্কানি (৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৪৯ খ্রিঃ) ও রোমে (৯ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৪৯ খ্রিঃ) প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • (৪) পিডমন্ট-সার্ডিনিয়া-র শাসক চার্লস এলবার্ট প্রজাদের দাবি মেনে ‘স্ট্যাটটো’ (Statuto) নামে এক সংবিধান গ্রহণ করেন এবং ইতালি থেকে বিদেশি শাসন বিলোপের উদ্দেশ্যে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদের সব উদ্যম ব্যর্থ হয় এবং ইতালিতে স্থিতাবস্থা ফিরে আসে।

জার্মানিতে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব

  • (১) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে জার্মানিতে উদারনৈতিক ভাবধারা বিস্তৃত হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে প্রাশিয়া, ব্যাভেরিয়া, ব্যাডেন, স্যাক্সনি, হ্যানোভার, হেগ, উরটেনবার্গ প্রভৃতি জার্মান রাজ্যে প্রবল গণ-আন্দোলন শুরু হয় এবং জনতা উদারনৈতিক সংবিধানের দাবি করতে থাকে।
  • (২) ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৩রা মার্চ ক্ষুদ্র রাজ্য ব্যাডেনে প্রথম উদারনৈতিক সংবিধান চালু হয় এবং এর দ্বারা দায়িত্বশীল মন্ত্রিসভা গঠন, বাক্-স্বাধীনতা, ধর্মাচরণের স্বাধীনতা, জুরি ব্যবস্থা প্রভৃতি প্রগতিশীল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
  • (৩) ক্রমে জার্মানির অন্যান্য রাজ্যে এই ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলেও প্রথমে প্রাশিয়ায় কিন্তু তা হয় নি। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের মার্চে কোলন, ব্রেসলাউ এবং বার্লিনে ব্যাপক শ্রমির আন্দোলনে আতঙ্কিত হয়ে প্রাশিয়া-রাজ চতুর্থ ফ্রেডারিক উইলিয়ম একটি সংবিধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
  • (৪) এরপর জার্মান জাতীয়তাবাদীরা ফ্রাঙ্কফোর্ট শহরে একটি পার্লামেন্ট আহ্বান করে সমগ্র জার্মানির জন্য একটি সংবিধান রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এটি ছিল জার্মানির ঐক্যের পথে একটি সুদৃঢ় পদক্ষেপ। শেষ পর্যন্ত এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয় এবং জার্মানিতে অস্ট্রিয়ার কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

অন্যান্য দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব

উপরিউক্ত দেশগুলি ছাড়াও এই বিপ্লব স্পেন, ডেনমার্ক, পর্তুগাল, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে প্রসারিত হলেও দমননীতির চাপে তা স্তব্ধ হয়ে যায়।

ফেব্রুয়ারি বিপ্লব একেবারেই ব্যর্থ নয়

ফেব্রুয়ারি বিপ্লব অবশ্য একেবারে ব্যর্থ হয় নি। যেমন –

  • (১) ফ্রান্সে দ্বিতীয় সাম্রাজ্য সার্বজনীন ভোটাধিকার মঞ্জুর করতে বাধ্য হয়।
  • (২) ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া হাঙ্গেরির বিদ্রোহীদের সঙ্গে আপোস করতে বাধ্য হয়।
  • (৩) ইতালির স্যাভয় রাজতত্ত্ব উদারনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করে।

উপসংহার:- সর্বশেষে বলতে হয় যে, রাজনৈতিক সচেতনতা, উদারনৈতিক বিধিব্যবস্থা, জাতীয় সংহতি, গণতান্ত্রিক অধিকার এবংআত্মনিয়ন্ত্রণের আদর্শ প্রচারই ছিল ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের মূল কথা।

(FAQ) ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কখন কোথায় ফেব্রুয়ারি বিপ্লব সংঘটিত হয়?

২২-২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে।

২. কোন বছরকে ইউরোপের বিপ্লবের বৎসর বলা হয়?

১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ।

৩. হাঙ্গেরির ম্যাৎসিনী নামে কে পরিচিতি?

হাঙ্গেরির বিখ্যাত নেতা লুই কসুথ।

৪. মেটারনিখ কখন ইংল্যান্ডে পলায়ণ করেন?

১৫ মার্চ, ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ।

Leave a Comment