ভারত ছাড়ো আন্দোলন

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি, আন্দোলনের সূত্রপাত, আন্দোলনের মূল মন্ত্র, আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা, আন্দোলনের প্রকৃতি, ব্যর্থতার কারণ, আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রসঙ্গে ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়কাল, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ভগিনী সেনা, ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব গ্ৰহণ, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারণ, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতা ও নেত্রী, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মন্ত্র করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে গান্ধীজির ভূমিকা, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রকৃতি মূল্যায়ণ, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের অবদান, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব্যর্থতা ও ফলাফল বা গুরুত্ব।

১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন

ঐতিহাসিক ঘটনাভারত ছাড়ো আন্দোলন
সময়১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাস
প্রধান উদ্যোক্তামহাত্মা গান্ধী
শ্লোগান করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে
ফলাফলব্যর্থতা
ভারত ছাড়ো আন্দোলন

ভূমিকা :- মহাত্মা গান্ধী ‘হরিজন’ পত্রিকায় ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের পরিকল্পনা পেশ করেন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ই জুলাই ওয়ার্ধা অধিবেশনে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। শুরু হয় ভারত -এর স্বাধীনতা আন্দোলনের সর্বশেষ বৃহত্তর গণআন্দোলন।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতা হিসেবে গান্ধীজির ঘোষণা

১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতা হিসেবে গান্ধিজি ঘোষণা করেন, অবিলম্বে ব্রিটিশদের ভারত ত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও কংগ্রেস প্রত্যক্ষ সংগ্রাম -এ নামবে।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি

এই আন্দোলনের পটভূমি তৈরি ছিল আগে থেকেই। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারণগুলি হল নিম্নরূপ –

(১) ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতা

  • (ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে ভারতীয়দের সমর্থন ও সহযোগিতার আশায় ১৯৪২ সালের ২৩ শে মার্চ ক্রিপস মিশন কিছু প্রস্তাব নিয়ে ভারতে আসেন।
  • (খ) এই প্রস্তাবে ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি না থাকায় এই মিশন ব্যর্থ হয়। ফলে গান্ধীজীর মনে তীব্র ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয়। তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন, ‘ পূর্ণ স্বাধীনতা অপেক্ষা কম কোনো কিছুতেই আমি সন্তুষ্ট হবো না।’

(২) জাপানি আক্রমণের সম্ভাবনা

১৯৪২ সালের প্রথম থেকেই জাপান একে একে সিঙ্গাপুর মালয় ও ব্রহ্মদেশ কে পদানত করে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে জাপানি আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দেয়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মতে, জাপানি আক্রমণের এই সম্ভাবনাই গান্ধীজিকে গণআন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয়।

(৩) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন পরিস্থিতিতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ব্রিটিশ সরকারের ওপর কংগ্রেস ও সাধারণ মানুষ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে, যা গণআন্দোলনের চেহারা নেয়।

(৪) তীব্র দমননীতি

এই গণ আন্দোলন দমন করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ভারতবাসীর ওপর অকথ্য নির্যাতন ও সীমাহীন অত্যাচার শুরু করে। ফলে ভারতীয়রা অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ হয়ে মুক্তির পথ খুঁজতে শুরু করে।

(৫) স্বাধীনতার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা

ব্রিটিশ সরকারের স্বাধীনতা প্রদানের ক্ষেত্রে ঔদাসীন্য এবং সাংবিধানিক সংস্কারের অনাগ্রহ ভারতীয়় নেতৃবৃন্দকে অসন্তুষ্ট করে তোলে। ভারতবাসী যেকোনো মূল্যে স্বাধীনতালাভকে নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর হয়ে উঠেছিলেন।ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠী লিখেছেন, ” ভারত ছাড়ো আন্দোলনে গান্ধি যতটা নেতা, ততটাই জনগণের ইচ্ছার দাস।”

(৬) পোড়ামাটির নীতি 

জাপানি আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড -এর প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল পূর্ব ভারতে পোড়ামাটির নীতি গ্রহণ করে। ফলে এই এলাকায় প্রচুর খাদ্যশস্য ধ্বংস হয় এবং খাদ্য সংকট  দেখা দেয়। তাদের এই নীতিও  আমাদের দেশ ভারতবর্ষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল।

(৭) গান্ধীজীর অনমনীয় মনোভাব

অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য প্রভৃতি আন্দোলন সত্ত্বেও ব্রিটিশ সরকারের উদাসীনতা এবং ভারতের নিরাপত্তার বিষয়ে ব্রিটিশদের সদিচ্ছার অভাব গান্ধীজিকে যারপরনাই ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। তার এই অনমনীয় ক্ষোভ ভারতছাড়ো আন্দোলনের মতো একটি গণআন্দোলনের পটভূমি তৈরি করেছিল। জহরলাল নেহরু এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “গান্ধীজিকে ইতিপূর্বে আর কখনো এতটা ব্রিটিশবিরোধী হতে দেখা যায়নি।”

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূত্রপাত

এই পটভূমিতে ৭ ই আগস্ট বোম্বাইয়ে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সভা বসে। ৮ ই আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মূল মন্ত্র

এই আন্দোলনের মূলমন্ত্র ঘোষিত হয় “করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে।”

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কেন্দ্র

১৯৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রগুলি ছিল মহারাষ্ট্রের সাতারা, মেদিনীপুরের তমলুক, কাঁথি, দিনাজপুরের বালুরঘাট, উত্তরপ্রদেশের বালিয়া, আজমগড়, অসমের নওগাঁ, ওড়িশার তালচের, বালেশ্বর ইত্যাদি।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতৃত্ব

বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে সাতারার শ্রীনাথ লালা, নানা পাতিল, বালিয়ার চৈতু পাণ্ডে, সরযূ পাণ্ডে, তমলুকের মাতঙ্গিনী হাজরা, সুশীল ধাড়া, পঞ্জাবের গৃহবধূ ভোগেশ্বরী ফকোননি, অসমের স্কুলছাত্রী কনকলতা বড়ুয়া অন্যতম। এ ছাড়া অরুণা আসিফ আলি, সুচেতা কৃপালিনী, জয়প্রকাশ নারায়ণ, আচার্য নরেন্দ্র দেব, রামমনোহর লোহিয়া, যোগেশ চ্যাটার্জি, উষা মেহতা, অচ্যুত পট্টবর্ধন, অজয় মুখার্জি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা

১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা অসামান্য।

  • (১) সুচেতা কৃপালনী, অরুনা আসফ আলি এ আন্দোলনের বৈপ্লবিক কাজকর্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন।
  • (২) কংগ্রেসের এই সংকটময় সময়ে উষা মেহতা গোপনে জাতীয় কংগ্রেসের বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করতেন।
  • (৩) এসময় মহিলা স্বেচ্ছাসেবী দ্বারা গঠিত হয় ভগিনী সেনা। ভাগিনী সেনার সদস্যরা খুবই বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রদর্শন করেছিলেন।
  • (৪) পাঞ্জাবের গৃহবধূ ভোগেশ্বরী ফুকননী, আসামের ১৪ বছরের কিশোরী কনকলতা বড়ুয়া প্রমুখ বীরঙ্গনা মহিলার নাম ভারতের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।
  • (৫) গান্ধী বুড়ি নামে খ্যাত মাতঙ্গিনী হাজরা ১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তমলুক থানা দখল করার নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
  • (৬) বীরভূমের শান্তিনিকেতন অঞ্চলে এই আন্দোলনকে সংগঠিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন সুনিতা সেন, নন্দীতা কৃপালনী, এলা দত্ত, লাবণ্যপ্রভা দত্ত, মায়া ঘোষ প্রমুখ বিরাঙ্গনা নারী।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে মাতঙ্গিনী হাজরার ভূমিকা

১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তমলুক থানা দখল করার নেতৃত্বে ছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালাতে থাকলে তিনি অন্যান্য সহকর্মীদের পিছনে রেখে নিজেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। পুলিশ তিনবার তাঁকে গুলি করলে তাঁর কপালে ও দুই হাতে লাগে। তবুও এই বিরাঙ্গনা সামনে এগিয়ে যেতে থাকেন এবং শেষে মৃত্যুবরণ করেন।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রকৃতি

৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন- “নেতা সংগঠন নেই, উদ্যোগ আয়ােজন কিছু নেই, কোনাে মন্ত্রবল নেই, অথচ একটা অসহায় জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মপ্রচেষ্টার আর কোনাে পথ না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠল -এ দৃশ্য বাস্তবিকই বিস্ময়ের।” এই আন্দোলনকে তিনি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ -এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। বড়ােলাট লর্ড লিনলিথগােও এই আন্দোলনকে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের পর সবচেয়ে বড়াে বিদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ

বিভিন্ন কারণে ভারত ছাড়ো আন্দোলন ব্যর্থ হয়। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণগুলি হল নিম্নরূপ –

(১) উপযুক্ত শীর্ষ নেতৃত্বের অভাব

ভারত ছাড়াে আন্দোলন সম্পূর্ণরূপে গান্ধিজির নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই গান্ধিজি-সহ কংগ্রেসের সব শীর্ষনেতাকে কারারুদ্ধ করা হয়। গান্ধিজির অবর্তমানে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতাে শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে এই আন্দোলন ব্যর্থ হয়।

(২) কমিউনিস্ট দলের বিরােধিতা

ভারতের কমিউনিস্ট দল পরােক্ষভাবে ভারত ছাড়াে আন্দোলনের বিরােধিতা করেছিল। জাতীয় আন্দোলনের মূলস্রোত থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে তারা ব্রিটিশের সহযােগিতা করে।

(৩) বিভিন্ন দলের বিরোধিতা

মুসলিম লিগ, অনুন্নত সম্প্রদায়, লিবারেল গােষ্ঠী, হিন্দু মহাসভা, ডেমােক্র্যাটিক পার্টি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সহযােগিতা করেনি। ফলস্বরূপ আন্দোলন ব্যর্থ হয়।

(৪) অসময়ে সূচনা

ভারত ছাড়ো আন্দোলন গান্ধিজি শুরু করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে, যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রণাঙ্গনে মিত্রপক্ষ অর্থাৎ ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। ফলে এই বিলম্ব আন্দোলনকে ব্যর্থ করে।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব

ব্যর্থতা সত্ত্বেও ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।

(১) স্বাধীনতার অজেয় সংকল্প

১৯৪২-এর ভারত ছাড়াে আন্দোলন ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়। ব্রিটিশ শাসনের প্রতি ভারতবাসীর ঘনীভূত ক্ষোভ ও তা থেকে মুক্তির জন্য অজেয় সংকল্প এই বিদ্রোহে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।

(২) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা

ভারত ছাড়ো আন্দোলন চলাকালে কোথাও কোনাে সাম্প্রদায়িক বিরােধ বাধেনি। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্য ছিল এই আন্দোলনের এক বিশাল সম্পদ।

(৩) জাতীয় বিপ্লব

অরুণ চন্দ্র ভূঁইয়া তাঁর ‘The Quit India Movement’ গ্রন্থে বলেছেন যে, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ফলে একটি অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ ও জাতীয় ঐক্যবােধ গড়ে ওঠে।

(৪) স্বাধীনতা অর্জনের ভিত্তিস্থাপন

৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গভীরতা ও ব্যাপকতা যে ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তিভূমি রচনা করেছিল, সে বিষয়ে কোনাে সন্দেহ নেই।

(৫) ব্রিটিশ প্রশাসনের ভিত্তি নষ্ট

ভারত ছাড়াে আন্দোলনের তীব্রতা সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের প্রশাসনিক ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। এর ফলে ইংরেজরা ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়।

(৬) কংগ্রেসের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা

ভারত ছাড়ো আন্দোলন থেকে সবচেয়ে লাভবান হয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস। আন্দোলনকালে মহাত্মা গান্ধির অনশন জাতির হৃদয়ে কংগ্রেসের মর্যাদাকে পুনরায় অধিষ্ঠিত করে। কংগ্রেস নেতাদের দুঃখবরণ ও আত্মত্যাগ দেখে জাতি আপ্লুত হয়। সমাজবাদী কংগ্রেস নেতা

জয়প্রকাশ নারায়ণ ‘ Towards Struggle ‘ গ্রন্থে লেখেন, “The Congress alone is the country’s salvation.”

(৭) গণ আন্দোলন হিসেবে

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিক ও কৃষক-সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামিল হয়ে একে গণ আন্দোলনের রূপদান করে। নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটিও এই আন্দোলন গণযুদ্ধ আখ্যা দিয়েছিল।

উপসংহার :- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মতে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে এ ধরনের ব্যাপক বিদ্রোহ ইতিপূর্বে আর কখনও সংঘটিত হয়নি। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মন্ত্র মুখর’ উপন্যাসে আগস্ট বিপ্লব বা ভারত ছাড়াে আন্দোলনের গণজাগরণের চিত্র ধরা পড়ে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “ভারত ছাড়ো আন্দোলন” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

[FAQ] ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ভারত ছাড়ো আন্দোলন কত সালে হয়?

১৯৪২ সালে।

২. ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ কোন আন্দোলনের শ্লোগান?

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের।

৩. ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দুজন নেত্রীর নাম কি?

মাতঙ্গিনী হাজরা, অরুণা আসফ আলি।

৩. ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রধান নেতা কে ছিলেন?

মহাত্মা গান্ধী।

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি

Leave a Comment