চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত -এর প্রবর্তক, প্রবর্তন কাল, দশসালা বন্দোবস্ত, কর্ণওয়ালিসের ঘোষণা, প্রচলিত অঞ্চল, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মূল কথা, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের উদ্দেশ্য হিসেবে আয়ের নিশ্চয়তা, সমর্থক গোষ্ঠীর উদ্ভব, দেশের সমৃদ্ধি, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল হিসেবে সুনির্দিষ্ট আয়, কৃষির উন্নতি, ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বিভিন্ন কুফল সম্পর্কে জানবো।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রসঙ্গে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কি, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রেক্ষাপট, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তক, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের উদ্দেশ্য, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথম বলবৎ হয় বাংলায় ও বিহারে, পরে বলবৎ হয় বারাণসী ও দক্ষিণের জেলা সমূহে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পাদন, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল, জমিদারদের উপর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রভাব, কৃষকদের উপর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রভাব, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রভাব ও সুর্যাস্ত আইন সম্পর্কে জানব।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত

ঐতিহাসিক ঘটনাচিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
বিশেষত্বভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা
প্রবর্তকলর্ড কর্ণওয়ালিস
প্রবর্তন কাল১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দ
প্রচলিত অঞ্চলবাংলা, বিহার, উড়িষ্যা
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত

ভূমিকা :- লর্ড কর্ণওয়ালিস নিজে ছিলেন ইংল্যান্ড-এর বড়ো জমিদার। জন শোরের কিছু অভিমত তাকে আকৃষ্ট করে। তিনি জমিদারদের হাতে জমির মালিকানা দেবার পক্ষপাতী ছিলেন।

দশসালা বন্দোবস্ত

জমির বন্দোবস্ত বিষয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর তিনি ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলা ও বিহারের এবং ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যার জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য জমি বন্দোবস্তের কথা ঘোষণা করেন। এই ব্যবস্থা ইতিহাসে ‘দশসালা বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত।

কর্ণওয়ালিসের ঘোষণা

দশসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কর্ণওয়ালিস ঘোষণা করেন যে, বিলাতের পরিচালক সভার (Court of Directors) অনুমোদন পাওয়া গেলে দশ বছর মেয়াদি এই বন্দোবস্ত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে রূপান্তরিত করা হবে।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত

বিলাতের পরিচালক সভার অনুমোদন লাভের পর তিনি দশসালা বন্দোবস্তকে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে পরিণত করেন।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলিত অঞ্চল

বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় এই ব্যবস্থা চালু হয়। পরবর্তীকালে বারাণসী, উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মুল কথা

এই ব্যবস্থা অনুসারে স্থির হয় যে,

  • (১) জমিদার-তালুকদাররা বংশানুক্রমিকভাবে জমি ভোগদখল করতে পারবেন। জমিদার ইচ্ছামতো জমি দান, বিক্রি বা বন্ধক রাখতে পারবেন।
  • (২) নির্ধারিত ভূমি রাজস্বের শতকরা ৯০ ভাগ সরকার ও ১০ ভাগ জমিদার পাবেন। সূর্যাস্ত আইন অনুসারে জমিদাররা নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের মধ্যে সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব পরিশোধ করবে।
  • (৩) রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হলে জমিদারকে সমগ্র জমিদারি বা তার অংশ বিক্রি করে রাজস্ব মেটাতে হবে। অন্যথায় জমিদারি বাজেয়াপ্ত হবে।
  • (৪) ভবিষ্যতে খরা, বন্যা, মহামারি বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও রাজস্ব মকুব হবে না।
  • (৫) ভূমি রাজস্বের পরিমাণ ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের হারেই বহাল থাকবে।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের উদ্দেশ্য

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল –

(১) আয়ের নিশ্চয়তা

ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আশা করেছিল যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের ফলে তারা নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক হারে রাজস্ব পাবে। এর ফলে তাদের আয়ের অনিশ্চয়তা দূর হবে।

(২) সমর্থক গোষ্ঠীর উদ্ভব

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের মাধ্যমে ভারত-এ ইংরেজদের অনুগ্রহপুষ্ট একটি নতুন অভিজাত শ্রেণির উত্থান ঘটবে, যারা তাদের প্রধান সমর্থক হিসেবে কাজ করবে।

(৩) দেশের সমৃদ্ধি

কর্ণওয়ালিস আশা করেছিলেন যে, জমিদারদাররা জমিতে স্থায়ী অধিকার পেলে কৃষির উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বিনিয়োগ করবেন। এতে দেশের সমৃদ্ধি বাড়বে এবং তাতে পরোক্ষে কোম্পানিরই লাভ হবে।

(৪) বাজেট তৈরিতে সুবিধা

ভূমি রাজস্বের পরিমাণ স্থায়ী হলে সরকারের পক্ষে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব বা বাজেট তৈরি করা সহজ হবে।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল

বাংলার ইতিহাসে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই ব্যবস্থা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার ভূমি ও সমাজ—উভয়ক্ষেত্রেই এক বিরাট পরিবর্তন আনে। অবশ্য এই বন্দোবস্তের সুফল ও কুফলদুটি দিকই আছে।যেমন –

(ক) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল

মার্সম্যানের মতে, “চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল একটি দৃঢ়, সাহসিকতাপূর্ণ ও বিচক্ষণ পদক্ষেপ।” এই ব্যবস্থার বিভিন্ন সুফল গুলি হল –

(১) সুনির্দিষ্ট আয়

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে জমিদারদের অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয় এবং সরকারের প্রাপ্য রাজস্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট হয়। এর ফলে সরকারের বার্ষিক বাজেটের অনেক সুবিধা হয়।

(২) উৎখাতের আশঙ্কার অবসান

রাজস্বের পরিমাণ সুনির্দিষ্ট হওয়ায় কৃষকদেরও সুবিধা হয়। তারা ইজারাদারদের শোষণ এবং ঘনঘন জমি থেকে উৎখাতের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পায়।

(৩) কৃষির উন্নতি

জমির ওপর জমিদারের স্বত্ব বা অধিকার সুনিশ্চিত হওয়ায় তারা জমি ও কৃষির উন্নতিতে যত্নবান হন।

(৪) অনুগত জমিদার শ্রেণির উদ্ভব

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে সরকারের অনুগত একটি জমিদার শ্রেণির উদ্ভব ঘটে। তাদের সমর্থনে ভারতের ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হয়।

(৫) গ্রামীণ উন্নয়ন

জমিদাররা গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন, চিকিৎসালয় স্থাপন, গ্রামের পথ-ঘাট নির্মাণ, পানীয় জলের জন্য পুষ্করিণী খনন প্রভৃতি ব্যবস্থা করায় গ্রামীণ জনসাধারণের অনেক উপকার হয়

(৬) কুটিরশিল্পের উন্নতি

জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের উন্নতি সাধন ঘটে।

(খ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কুফল

ঐতিহাসিক হোমস্ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকে ‘একটি দুঃখজনক ভুল বলে অভিহিত করেছেন। এডওয়ার্ড থর্নটন বলেন যে, চরম অজ্ঞতা থেকেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সৃষ্টি হয়। প্রকৃতপক্ষে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল অপেক্ষা কুফলই বেশি ছিল। যেমন—

(১) কৃষকদের উচ্ছেদ

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে জমিদারকে জমির স্থায়ী মালিকানা দেওয়া হলেও জমিতে কৃষকের কোনো অধিকার ছিল না। ফলে জমিদার বেশি রাজস্ব পাওয়ার আশায় চাষিকে ঘনঘন জমি থেকে উৎখাত করত। চাষির রাজস্ব বাকি পড়লে জমিদার সেই চাষির জিনিসপত্র নিলাম করত। এজন্য পার্সিভ্যাল স্পিয়ার বলেছেন যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দ্বারা কৃষকরা জমিদারের ভাড়াটে মজুরে পরিণত হয়।

(২) জমির উন্নতি ব্যাহত

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দ্বারা জমি ও কৃষির উন্নতি সম্ভব হয়েছিল বলে কেউ কেউ মনে করলেও অনেকে মনে করেন যে এই ব্যবস্থার দ্বারা চাষিরা জমির মালিকানা না পাওয়ায় তারা জমির উন্নতির জন্য বিশেষ চেষ্টা করত না। জমিদাররাও জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, কৃষির প্রসার, সেচের প্রসার, পতিত জমি উদ্ধার প্রভৃতির জন্য অর্থ ব্যয় না করে নিজেদের বিলাসব্যসনেই অর্থ ব্যয় করত।

(৩) সরকারের লোকসান

জমিদাররা সরকারকে যে পরিমাণ রাজস্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ রাজস্ব তারা চাষিদের কাছ থেকে আদায় করত। সরকারের রাজস্ব নির্ধারণ সুনির্দিষ্ট হওয়ার ফলে ভবিষ্যতে রাজস্ব থেকে সরকারের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যায়। তা ছাড়া জনসংখ্যাবৃদ্ধি, কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পতিত জমি উদ্ধার প্রভৃতি থেকে জমিদারের আয় বহুগুণ বাড়লেও এই বাড়তি আয়ের কোনো অংশ সরকার পেত না।

(৪) কৃষকের দুরবস্থা

জমিদাররা কৃষকদের ওপর প্রবল অত্যাচার চালিয়ে নির্ধারিত রাজস্বের চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করার ফলে কৃষকদের অবস্থা খুবই করুণ হয়ে ওঠে। উনবিংশ শতকের প্রথম থেকেই রামমোহন রায়, লালবিহারী দে, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র দত্ত প্রমুখ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে রায়তের দুর্দশার কথা সবার সামনে তুলে ধরেন।

(৫) পুরোনো জমিদারদের উচ্ছেদ

এই ব্যবস্থায় ‘সূর্যাস্ত আইন’ অনুসারে নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের মধ্যে সরকারি কোশাগারে রাজস্ব জমা দিতে না পারায় পুরোনো বহু জমিদার তাঁদের জমিদারি হারান। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হওয়ার প্রথম কুড়ি বছরের মধ্যে বাংলার প্রায় অর্ধেক প্রাচীন জমিদার পরিবার তাঁদের জমিদারি হারান।

(৬) নতুন জমিদারের উত্থান

পুরোনো বহু জমিদার তাঁদের জমিদারি হারালে শহুরে ধনী বণিকরা নিলামে এই জমিদারিগুলি কিনে নেন। এসব ভুঁইফোঁড় নতুন জমিদাররা শহরে বসে তাঁদের নায়েব-গোমস্তাদের দিয়ে জমিদারি চালাতেন। তাদের গ্রামের কৃষক বা জমির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক বা প্রজাকল্যাণের কোনো ইচ্ছা ছিল না। প্রজাদের শোষণ করে প্রচুর অর্থ উপার্জনই ছিল তাঁদের মূল লক্ষ্য।

(৭) কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষতি

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে দ্রুত বেশি অর্থ উপার্জনের আশায় বহু শহুরে মানুষ ব্যাবসাবাণিজ্য ছেড়ে জমিদারি ক্রয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কুটিরশিল্পের কাজেও লোকের আগ্রহ কমে যায়। বেশিরভাগ মানুষ কৃষিনির্ভর হয়ে পড়ে। এভাবে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য – সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

(৮) মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির উদ্ভব

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে ‘পত্তনিপ্রথা’র মাধ্যমে বিভিন্ন মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির উদ্ভব ঘটে। জমিদার ও চাষির মাঝখানে পত্তনিদার, দর পত্তনিদার, দরদর পত্তনিদার প্রভৃতি স্তরের মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান ও তাদের সীমাহীন আর্থিক শোষণ কৃষিকাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কে স্মিথের অভিমত

ঐতিহাসিক স্মিথ মনে করেন যে, “লর্ড কর্ণওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করে এক বিপ্লব ঘটান।”

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কে রমেশচন্দ্র দত্তের অভিমত

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত বলেন যে, “১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত লর্ড কর্ণওয়ালিসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল ভারতে ব্রিটিশ জাতির গৃহীত পদক্ষেপগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাজ্ঞ ও সফল পদক্ষেপ।”

উপসংহার :- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে একদিকে নব্য জমিদার, মহাজন, ব্যবসায়ী প্রভৃতি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির আবির্ভাব ঘটে, অন্যদিকে গ্রামীণ কৃষক ও কারিগররা ভূমিহীন মজুরে পরিণত হয়। এভাবে গ্রাম সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির ঐতিহ্যগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটে যায়। জমিদারদের অত্যাচারে প্রজাদের অবস্থা সঙ্গিন হয়ে উঠলে সরকার প্রজাদের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে ১৮৫৯ ও ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রজাস্বত্ব আইন পাস করে।

(FAQ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কে কবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন?

লর্ড কর্ণওয়ালিস ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে।

২. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কোথায় কোথায় প্রচলিত হয়?

বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা।

৩. কাদের সাথে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা হয়েছিল?

জমিদারদের সাথে।

৪. সূর্যাস্ত আইন কি?

১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্ণওয়ালিস প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অন্যতম শর্ত ছিল বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের আগে জমিদারদের সরকারের কাছে রাজস্ব জমা দিতে হবে। কোনো জমিদার নির্দিষ্ট সময়ে রাজস্ব দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট জমিদারি বাজেয়াপ্ত করা হবে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এই শর্ত সূর্যাস্ত আইন নামে পরিচিত।

Leave a Comment