ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক প্রসঙ্গে অবস্থান, আয়তন সীমা, জনসংখ্যা, ভাষা, গ্ৰাম পঞ্চায়েত, বৃহৎ গ্ৰাম, ভৌগোলিক দিক দারিদ্রতা, শিক্ষা, যোগাযোগ, উৎসব ও মেলা সম্পর্কে জানবো।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক

বিষয়ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
সদর দপ্তরওন্দা
জেলাবাঁকুড়া
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক

ভূমিকা :- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া সদর মহকুমার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক বিভাগ হল ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। এই ব্লকটি ওন্দা থানার অধীনস্থ। এই ব্লকের সদর দপ্তর ওন্দা গ্ৰামে অবস্থিত।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অবস্থান

বাঁকুড়া জেলার ঠিক কেন্দ্রভাগে ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অবস্থিত।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সীমা

বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উত্তরে বাঁকুড়া ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, পূর্বে বিষ্ণুপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, দক্ষিণে তালড্যাংরা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং পশ্চিমে ইন্দপুর ও বাঁকুড়া ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অবস্থিত।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের আয়তন

বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের আয়তন ৫০২.৪৬ বর্গকিমি। একটি পঞ্চায়েত সমিতি, ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৮৫ টি গ্রাম সংসদ, ২৯১ টি মৌজা ও ২৭১টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম নিয়ে এই  ব্লকটি গঠিত। এই ব্লকটি ওন্দা থানার এক্তিয়ারভুক্ত।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের জনসংখ্যা

বর্তমানে ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের জনসংখ্যা আড়াই লক্ষেরও বেশি। এখানকার সমস্ত অধিবাসী গ্ৰামে বাস করে। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫.৮২ শতাংশ।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ভাষা

এখানকার সরকারি ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত

চিঙ্গানি, চূড়ামণিপুর, কল্যাণী, কাঁটাবেড়িয়া, লোদনা, মাজডিহা, মেদিনীপুর, নাকাইজুড়ি, নিকুঞ্জপুর, ওন্দা ১, ওন্দা ২, পুনিসোল, রামসাগর, রতনপুর ও সানতোড় হল ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েত।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের বৃহৎ গ্ৰাম

বাঁকুড়া জেলার ওন্দা (৫,৯৩৩), পুনিসোল (২২,১৯৩), নতুনগ্রাম (৪,০৭৭) ও চিঙ্গানি (৪,০০৪) ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের বড়ো গ্রাম।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ভৌগোলিক দিক

এই অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠ অসমতল ও পাথুরে। এখানকার লাল ল্যাটেরাইট মাটিতে ঝোপঝাড় ও শাল গাছ প্রচুর দেখা যায়।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের দারিদ্রতা

বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ৪৪.৩৯ শতাংশ পরিবার দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের শিক্ষা ব্যবস্থা

  • (১) বর্তমান তথ্য অনুযায়ী ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ২৪৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৬টি উচ্চ বিদ্যালয়, এবং ১২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
  • (২) এই ব্লকের একমাত্র সাধারণ কলেজ ওন্দা থানা মহাবিদ্যালয় ২০০৭ সালে মুড়াকাটায় প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্বীকৃত এই কলেজে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃত, শিক্ষাবিজ্ঞান, ভূগোল, শারীরশিক্ষা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষাদানের ব্যবস্থা আছে।

বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের যোগাযোগ ব্যবস্থা

  • (১) ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ২ টি ফেরি পরিষেবা ও ৭টি প্রান্তিক বাস রুট রয়েছে। ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উপর দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর-বাঁকুড়া-আদ্রা লাইন গেছে। এই মহকুমায় কালিসেন, ওন্দাগ্রাম ও রামসাগর রেল স্টেশন অবস্থিত।
  • (২) ১৪ নং জাতীয় সড়ক মোরগ্রাম থেকে খড়গপুর পর্যন্ত প্রসারিত ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম পর্যন্ত প্রসারিত ৯ নং রাজ্য সড়ক ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উপর দিয়ে গেছে।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে অবস্থিত বহুলাড়ার শিব মন্দির

এই অঞ্চলের একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ওন্দা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বহুলাড়া গ্রামে সিদ্ধেশ্বর শিবের মন্দির। এটি ইঁট-নির্মিত একটি রেখ দেউল। পাল যুগে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের মাঝামাঝি অঞ্চলে মন্দিরটি অবস্থিত। ওন্দা রেল স্টেশন থেকে বহুলাড়ার দূরত্ব ৫ কিমি।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ওন্দা গ্রামে বিখ্যাত দোল মেলা

দোলযাত্রা উপলক্ষে ওন্দায় ৯ দিন ধরে একটি দোল মেলা হয়। মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাতিনা গ্রামের উপরপাড়ায় বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ৫ দিন ধরে মেলা হয়।

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উৎসব ও মেলা

ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের উৎসব ও মেলা গুলি হল –

(১) হীরাপুরের মেলা

এই ব্লকের হীরাপুর গ্রামে প্রতি বছর বৈশাখ মাসে হরিনাম সংকীর্তন মহোৎসব, শ্রাবণ মাসে মনসাপূজা, কার্তিক মাসে রাসযাত্রা ও চৈত্র মাসে শিবের গাজন উপলক্ষ্যে একদিনের মেলা আয়োজিত হয়।

(২) ভোলা গ্ৰামের গাজন

এই ব্লকের ভোলা গ্রামে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি (১৩ বা ১৪) দুই দিন ব্যাপী শিবের গাজন ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটিই এই অঞ্চলের সর্বজনীন উৎসব। গ্রামবাসীরা এই দুই দিন ভক্তব্রত গ্রহণ করেন। মানত হিসেবে ষোড়শোপচারে ভোগ-পূজাও দেওয়া হয়। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলাটি বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে চালু হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

(৩) কল্যাণী গ্ৰামের কালী পূজা

এই ব্লকের কল্যাণী গ্রামের স্থানীয় কালী মন্দিরে প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাড়ম্বরে কালী পূজা এবং তিন দিন ব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। প্রায় দুশো বছরের পুরনো এই উৎসব ও মেলা। মানত হিসেবে ছাগ, আখ বা কুমড়ো বলি দেওয়া হয়।

(৪) দলাদলী গ্ৰামের রাসযাত্রা

এই ব্লকের দলদলী গ্রামে দু’টি পৃথক মন্দিরে ‘রাধানাথ’ ও ‘দামোদর’ নামে দু’টি কৃষ্ণ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত আছে। মন্দিরের সঙ্গে পৃথক রাসমঞ্চও আছে। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমায় তিন দিন ব্যাপী রাসযাত্রা উৎসব মহাসমারোহে আয়োজিত হয়। এই উৎসবের সেবায়েত হল স্থানীয় গোপ সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিরা। উৎসব উপলক্ষ্যে পূজা, ভোগ-নিবেদন, ব্রাহ্মণভোজন, যাত্রাভিনয় ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। উৎসব ও মেলা দুইই প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো।

(৫) লাউদা গ্ৰামের পূজা ও মেলা

  • (ক) প্রতি বছর আষাঢ় মাসে অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে পূণ্যস্নান, শ্রাবণ মাসে দেবী মনসার ঝাঁপান, আশ্বিন মাসে দুর্গাপূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই সব উৎসবগুলি দু’শো বছরের পুরনো।
  • (খ) এই গ্রামে শ্রাবণ মাসের সংক্রান্তির দিন মনসা দেবীর নির্দিষ্ট স্থানে দেবীর প্রতীক সাপ আঁকা মাটির কলসি ও মাটির হাতি-ঘোড়া স্থাপন করে মহাসমারোহে মনসার ঝাঁপান উৎসব পালিত হয়। পূজার দিন মধ্যাহ্নে উপবাসী ভক্তেরা দেবীর ‘ভরম’ বা ঝাঁপ ব্রত পালন করেন।
  • (গ) ‘প্রণাম সেবা’ দেওয়ার জন্য ভক্তেরা নিজ নিজ বাড়ি থেকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করতে করতে পূজাস্থানে উপস্থিত হন। অনেক ভক্ত এই উপলক্ষ্যে আগুন সন্ন্যাস ব্রতও পালন করেন। ভক্তেরা রাতে মনসার প্রতীক হাতি ও ঘোড়া কাঁধে করে মনসামঙ্গল গান গাইতে গাইতে ও ছড়া কাটতে কাটতে গ্রাম পরিক্রমায় বের হন।
  • (ঘ) এই গ্ৰামের দুর্গাপূজাটি আদি বাসিন্দা চক্রবর্তী বংশের পারিবারিক উৎসব। প্রায় দুশো বছর পূর্বে এই বংশের রামমোহন চক্রবর্তী লাউদা গ্রামে বসবাস শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই এই পূজা প্রবর্তন করেন। গ্রামে দেবী দুর্গার একটি আটচালা মন্দির আছে। বাংলায় প্রচলিত দুর্গোৎসবের রীতি অনুসারেই পূজা হয়।
  • (ঙ) বিজয়াদশমীর দিন আশেপাশের গ্রামের অধিবাসীরা তাদের নিজ নিজ ‘কাঠিনাচের দল’ নিয়ে বাজনা সহকারে গ্রাম পরিক্রমায় বের হয়। এই সময় দেবীর মাহাত্ম্যসূচক ও অন্যান্য হাস্যরসাত্মক গান গাওয়া হয়। এই দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ভোজ ও প্রসাদ বিতরণ ছাড়াও তিন দিন ধরে একটি মেলারও আয়োজন করা হয়।

(৬) বালগুমা গ্ৰামের উৎসব

এই ব্লকের বালগুমা গ্রামে প্রতি বছর মনসাপূজা, কালাচাঁদ ঠাকুরের পূজা, ধর্মরাজ ঠাকুরের পূজা, মহাদানা ঠাকুরের পূজা ও কুদরী ঠাকুরের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সৌমন্ডলেরা এইসব উৎসব পরিচালনা করেন।

(৭) আমদহ গ্ৰামের উৎসব

বালগুমা মৌজার অন্তর্গত আমাদহ গ্রামে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে, মনসাপূজা ও রানি ভবানী প্রবর্তিত কালীপূজা, অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে হিকিমসিনীর পূজা ও পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহে ভেদুয়াসিনীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামদেবতা ধর্মরাজ ঠাকুরের পূজাও এই গ্রামে আয়োজিত হয়।

(৮) সাতধূল্যা গ্ৰামের উৎসব

বালগুমা মৌজার অন্তর্গত সাতধূল্যা গ্রামে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের সংক্রান্তির দিন মনসাপূজা উপলক্ষ্যে পায়রা ও ছাগল বলি দেওয়া হয়। এই গ্রামে মনসার একটি মন্দিরও রয়েছে।

(৯) মাধবপুর গ্ৰামের রথযাত্রা

এই ব্লকের মাধবপুর গ্রামে আষাঢ় মাসে সর্বজনীন রথযাত্রা উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়। রথের দিন লক্ষ্মীনারায়ণের পূজা, ভোগ-আরতি ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিকেলে লক্ষ্মীনারায়ণ বিগ্রহকে রথে স্থাপন করে মাধবপুর থেকে ডুমুরিয়া গ্রাম পর্যন্ত শোভাযাত্রা সহকারে রথ টানা হয়। সাতদিন পর পুনরায় সাড়ম্বরে এই রথ মাধবপুরে ফিরিয়ে আনা হয়। রথযাত্রা ও পুনর্যাত্রার দিন মাধবপুরে অনুষ্ঠিত এই উৎসব ও মেলা বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে শুরু হয়েছিল।

(১০) রতনপুর গ্ৰামের উৎসব

এই ব্লকের রতনপুর গ্রামে প্রতি বছর আশ্বিন পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, কার্তিক অমাবস্যায় কালীপূজা, অগ্রহায়ণ মাসে জগদ্ধাত্রী পূজা ও মাঘ মাসে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে এই গ্রামে চারদিন ধরে আয়োজিত মেলাটি দেড়শো বছরেরও বেশি পুরনো। এই গ্রামে লক্ষ্মী মন্দির, কালী মন্দির, জগদ্ধাত্রী মন্দির, শিবমন্দির, দেবী অম্বিকার মন্দির, দেবী সর্বেশ্বরীর ষটকোণাকৃতি মন্দির, মনসা ও দু’টি পঞ্চানন্দের থান আছে।

(১১) জামজুড়ি গ্ৰামের উৎসব

এই ব্লকের জামজুড়ি গ্ৰামে প্রতি বছর সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে মাঘ মাসে এক দিনের মেলা আয়োজিত হয়। এই মেলাটি প্রায় একশো বছরের পুরনো।

(১২) আসনাসিনীর পূজা

  • (ক) আসনাসিনী দেবীর বার্ষিক সর্বজনীন উৎসব আসনাসোল গ্রামের প্রধান উৎসব। আসনাসোল গ্রামে আসনাসিনী নামে এক গ্রাম্যদেবী প্রতিষ্ঠিতা। এই দেবীর কোনও মূর্তি নেই। ধানক্ষেতের মাঝে একটি বড়ো পুকুরের পাড়ে কয়েকটি কুঁচিলা ফলের গাছের নিচে দেবীর প্রতীক হিসেবে মাটির কয়েকটি হাতি-ঘোড়া আছে।
  • (খ) গ্রামবাসীরা বিশ্বাস মে, আসনাসিনীর পূজা করলে ভালো বৃষ্টিপাত হয় এবং দেবীর ঘট উল্টে রাখলে অতিবৃষ্টি বন্ধ হয়। নিত্যপূজা ছাড়াও প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে গ্রামবাসীদের সুবিধা অনুযায়ী কোনও একটি দিন বেছে নিয়ে আসনাসিনী দেবীর উৎসব পালন করা হয়।
  • (গ) এই উৎসব উপলক্ষ্যে যজ্ঞ, ব্রাহ্মণভোজন ও জনসাধারণের মধ্যে অন্নভোগ বিতরণ করা হয়। তাছাড়া অনাবৃষ্টি বা অতিবৃষ্টি হলেও দেবীর বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার এই দেবীর পুরোহিত।

(FAQ) ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক কোন জেলায় অবস্থিত?

বাঁকুড়া জেলা।

২. ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?

ওন্দা।

৩. ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের কোথায় ইটের মন্দির দেখা যায়?

বহুলাড়া গ্ৰামে।

৪. ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের কোথায় কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?

মুড়াকাটা গ্ৰামে।

Leave a Comment