ভারতের স্বাধীনতা দিবস

ভারতের স্বাধীনতা দিবস, পরাধীন ভারত, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহীদ, জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা, আত্মবলিদান, স্বায়ত্তশাসনের দাবি, গান্ধীজীর নেতৃত্ব, নেতাজির অবদান, স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা দিবস, ভারতের স্বাধীনতা আইন কার্যকর, ভারত বিভাগ, স্বাধীনতা ঘোষণা ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সম্পর্কে জানবো।

ভারতের স্বাধীনতা দিবস প্রসঙ্গে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় দিবস, ভারতের সরকারি ছুটির দিন স্বাধীনতা দিবস, ভারতের স্বাধীনতা দিবস স্মরণ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস, ব্রিটিশ শাসনের অবসান, ভারতের স্বাধীনতা দিবসে আসমুদ্র হিমাচল পতাকা উত্তোলন, লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বক্তৃতা ও ভারতের সর্বত্র স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও পতাকা উত্তোলন সম্পর্কে জানব।

ভারতের স্বাধীনতা দিবস

ঐতিহাসিক ঘটনাভারতের স্বাধীনতা দিবস
তারিখ১৫ আগস্ট
ধরণজাতীয় দিবস
পালনকারীভারত
উদযাপনপতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, জাতীয় সংগীত, প্রধানমন্ত্রীরাষ্ট্রপতির ভাষণ
ভারতের স্বাধীনতা দিবস

ভূমিকা :- স্বাধীনতা আমাদের সকলের কাছেই এক পরম কাঙ্ক্ষিত বিষয়। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস হল স্বাধীনতা দিবস।১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার অধিকার অর্জন করেছিল। এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫ অগাস্ট তারিখটি ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা

সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যেই ইউরোপ-এর বণিকেরা ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের বাণিজ্যকুঠি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির জোরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের প্রধান শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে।

পরাধীন ভারত

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধ -এ বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দোল্লার পরাজয়ের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়।

স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা

দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা সংস্কৃতির বিস্তারের মাধ্যমে ভারতবাসী জানতে পেরেছে ফরাসি বিপ্লব -এর কথা; বুঝেছে সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতার গুরুত্ব। ফলে সময়ের সাথে সাথে তীব্র হয়েছে তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা।

স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহীদ

ব্যারাকপুর সেনাছাউনিতে মঙ্গল পান্ডে বিদ্রোহের আগুন জেলে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহীদ হন।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান

১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের (মহাবিদ্রোহ) পরের বছর ভারত শাসন আইন পাস হয় এবং উক্ত আইন বলে ব্রিটিশ রাজশক্তি কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার স্বহস্তে তুলে নেয়।

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা

ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ১৮৮৫ সালে বোম্বাইয়ের গোকুল দাস তেজ পাল সংস্কৃত কলেজে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়।

স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয়দের আত্মবলিদান

জাতিকে স্বাধীন করার আকাঙ্ক্ষায় দেশপ্রেমের এই আগুনে আত্মাহুতি দিয়েছেন ক্ষুদিরাম বসু থেকে শুরু করে বিনয়-বাদল-দীনেশ, সূর্যসেন তথা ভগৎ সিং সকলেই।

সংস্কারের চেষ্টা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ -এর পর ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় প্রশাসন ব্যবস্থার কিছু সংস্কার সাধনে প্রবৃত্ত হয়। মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইন সংস্কার প্রবর্তন করে ভারতীয়দের প্রশমিত করার চেষ্টা চালায়।

স্বায়ত্তশাসনের দাবি

এরপর ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের গতি রোধের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক রাওলাট আইন -এর মতো দমনমূলক আইনও পাস হয়। এরপর ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি তোলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের গান্ধীজীর নেতৃত্ব

এরপর গণ-অসন্তোষ থেকে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন ঘনীভূত হয়। ফলে সারা দেশে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতাজির আত্মবলিদান

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। দেশের মানুষ দুই হাত তুলে এই মহান সংগ্রামীকে সমর্থন জানায়।

মুসলিম লীগের নেতৃত্ব

অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ -এর নেতৃত্বে মুসলিম জাতীয়তাবাদের উত্থানেরফলে ভারতের জাতীয় জীবনে চরম উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। শেষ মুহূর্তে মাথা চাড়া দেয় নৌ বিদ্রোহ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কবি, সাহিত্যিকদের অবদান

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের রচনা ভারতীয়দের জাতীয়তাবাদের উত্থানে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।

ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পথ

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।

স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা দিবস

১৯২৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বরাজ ঘোষণাপত্র বা “ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র” গৃহীত হয়এবং ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়।

স্বাধীনতার পূর্বে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য

ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে একটি জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগরিত করে তোলার জন্য এবং ব্রিটিশ সরকারকে স্বাধীনতা অনুমোদনে বাধ্য করার জন্য একটি স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

স্বাধীনতার পূর্বে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান

১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ২৬ জানুয়ারি তারিখটি কংগ্রেস স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করেছিল। সেই সময় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করা হত এবং সেই সব সভায় আগত ব্যক্তিবর্গ “স্বাধীনতার শপথ” গ্রহণ করতেন।

স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে নেহরুর অভিমত

জওহরলাল নেহেরু তার আত্মজীবনীতে স্বাধীনতার পূর্বে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভাগুলিকে শান্তিপূর্ণ, ভাবগম্ভীর এবং “কোনওরকম ভাষণ বা উপদেশ বিবর্জিত” বলে বর্ণনা করেছেন।

গান্ধীজীর অভিমত

মহাত্মা গান্ধী সভার পাশাপাশি এই দিনটিতে আরও কিছু করার পরিকল্পনা করেন। তিনি মনে করেন, এই দিনটি পালন করা উচিত “… কিছু সৃজনশীল কাজ করে। চরকা কেটে, বা ‘অস্পৃশ্য’দের সেবা করে, বা হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির আয়োজন করে, বা আইন অমান্য করে, অথবা এই সবগুলি একসঙ্গে করে”।

স্বাধীনতার পূর্বে উদযাপিত স্বাধীনতা দিবসের দিনটিকে গুরুত্ব প্রদান

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সংবিধান বিধিবদ্ধ হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। তখন থেকেই ২৬ জানুয়ারি তারিখটি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব

  • (১) ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ -এর প্রভাবে ইংল্যান্ড-এর রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ব্রিটেনের পক্ষে অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক কোনোরকম সাহায্য লাভ অসম্ভব হয়ে পড়ে।
  • (২) ব্রিটেনের লেবার সরকার বুঝতে পারে এই পরিস্থিতে ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থবল ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে। তারা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন

ক্লিমেন্ট এটলির ঘোষণা

১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ঘোষণা করেন, ১৯৪৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই ব্রিটিশ সরকার ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অনুমোদন করতে চলেছে।

ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন এগিয়ে আনা

কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে ক্রমাগত তর্কবিতর্ক ও বাকবিতণ্ডা অন্তর্বর্তী সরকারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে – এই আশঙ্কায় ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখটি এগিয়ে আনেন।

মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনা

জিন্নার পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবি এবং তাতে জওহরলাল ও প্যাটেলের সম্মতি থাকায় মাউন্টব্যাটেনের উপদেষ্টা লর্ড ইসম ভারত ভাগের পরিকল্পনা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাঠান (১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে)। পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি ‘ভারতীয় স্বাধীনতা আইন’ রূপে পাস হয় (রাজকীয় সম্মতি লাভ করে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই)। এটি ‘মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা‘ হিসেবে পরিচিত ছিল।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ভারতীয় স্বাধীনতা আইন (১৯৪৭) অনুসারে ব্রিটিশ ভারত ভারত ও পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভূখণ্ড সহ) নামে দু’টি স্বাধীন অধিরাজ্যে বিভাজিত হয়।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন কার্যকর

এই আইন কার্যকর হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্ট এবং সেই সঙ্গে নবগঠিত দুই রাষ্ট্রের নিজ নিজ গণপরিষদের উপর সম্পূর্ণ আইনবিভাগীয় কর্তৃত্ব অনুমোদিত হয়।

ভারত বিভাগ

১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহেরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেদকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন।  ফলে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

র ্যাডক্লিফ লাইন

ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখা নির্দিষ্ট হয় র‌্যাডক্লিফ লাইন দ্বারা। লক্ষাধিক মুসলমান, শিখ ও হিন্দু শরণার্থী র‌্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেন

পাকিস্তানের জন্ম

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য জন্ম নেয়। করাচিতে মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন।

ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ সরকার ভারতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে জওহরলাল নেহেরু তার বিখ্যাত নিয়তির সঙ্গে অভিসার অভিভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও গভর্নর জেনারেল

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতীয় ইউনিয়নের জন্ম হলে নতুন দিল্লিতে জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। মাউন্টব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।

স্বাধীনতার আনন্দ বিঘ্নিত

ভারতের স্বাধীনতা লাভের আনন্দ বিঘ্নিত হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে উপমহাদেশ বিভাজিত হওয়ার ঘটনায়।

ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

১৫ আগস্ট দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানটি জাতীয় চ্যানেল দূরদর্শনের সাহায্যে সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়।

ভারতের রাজ্য রাজধানীর স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠান

রাজ্য রাজধানীগুলিতেও পতাকা উত্তোলন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অন্যান্য শহরে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ নিজ নিজ কেন্দ্রে পতাকা উত্তোলন করেন।

সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠান

নানা বেসরকারি সংস্থাও পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুল-কলেজেও পতাকা উত্তোলন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

কচিকাচাদের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠান

ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা এই উপলক্ষে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাজপোষাক পরে শোভাযাত্রা করে।

বর্তমান দিনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বর্তমানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।

স্বাধীনতা দিবস জাতীয় ছুটির দিন

ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে এবং অন্যান্য অফিস-আদালতে মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়। এটি একটি জাতীয় ছুটির দিন হওয়ার দরুন সর্বত্রই পঠনপাঠন ও কাজকর্ম বন্ধ থাকে।

উপসংহার :- আমাদের কাছে স্বাধীনতা দিবস এক অত্যন্ত আনন্দের দিন। এই দিন পাড়ায় পাড়ায়, স্কুলে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। আমরা প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পতাকা উত্তোলনে সামিল হই। এই দিন প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্য শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

(FAQ) ভারতের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ভারত কার উপনিবেশ ছিল?

ইংল্যান্ড।

২. ভারত কবে স্বাধীনতা লাভ করে?

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।

৩. ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

জওহরলাল নেহেরু।

Leave a Comment