ইতালির বিখ্যাত চিত্রশিল্পী গিয়োভানী সিগানটিনির প্রেমপত্র প্রসঙ্গে গিয়োভানী সিগানটিনির পরিচিতি, গিয়োভানী সিগানটিনির দেশ, গিয়োভানী সিগানটিনির খ্যাতি, গিয়োভানী সিগানটিনির প্রেম, গিয়োভানী সিগানটিনির প্রেমিকা ও গিয়োভানী সিগানটিনির মূল প্রেমপত্র সম্পর্কে জানব।
চিত্রশিল্পী গিয়োভানী সিগানটিনির প্রেমপত্র
ঐতিহাসিক প্রেমপত্র | গিয়োভানী সিগানটিনির প্রেমপত্র |
পরিচিতি | বিখ্যাত চিত্রশিল্পী |
দেশ | ইতালি |
প্রেমিকা | স্বীয় স্ত্রী |
উপাসক | প্রকৃতি |
বিখ্যাত ইতালীয় চিত্রশিল্পী গিয়োভানী সিগানটিনির নাম শিল্পী মহলে বিশেষ পরিচিত। তিনি ছিলেন প্রকৃতির (nature) উপাসক। বিশ্বপ্রকৃতির নানা সৌন্দর্য তাঁকে মুগ্ধ করেছিল। ফুল ছিল তাঁর অতি প্রিয়। প্রিয়তমা পত্নীর উদ্দেশে তিান একসময় একটি গোলাপ ফুল পাঠায়েছিলেন – তার সঙ্গে দিয়েছিলেন একটি ছোট চিঠি। চিঠিখানি বড করুণ। এই সুন্দরী পৃথিবীর কাছ থেকে একদিন যে তাঁকে বিদায় নিতে হবে তাতে তাঁর দুঃখ নেই – কিন্তু ফুলের সৌন্দর্য আর তিনি উপভোগ করতে পারবেন না, এই চিন্তাই যেন গিয়োভানীকে ব্যাকুল করে তুলেছিল, তাই জীবনের প্রিয়জনকে পরম প্রিয় পুষ্পোপহার পাঠিয়ে তাঁকে লিখলেন –
প্রিয়, প্রিয়তমে – তোমায় ভালবাসি তাই পাঠালাম প্রেমের শ্রেষ্ঠ নিদর্শনের একমাত্র প্রতীক এই সুন্দব ফুলটি। তাকে তুলে নিও। তোমার কোমল হাতের স্পর্শে সে আরও সুন্দর হয়ে উঠবে! আজ এই বসন্তে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে, তোমারই মুখচ্ছবি হৃদয়ে ধ্যান করতে করতে তুলেছি এই ফুল।
কত বসন্ত আসবে আমাদের জীবনে – তোমায় দেব উপহার এমনি কত ফুল! তারপর একদিন আসবে যেদিন এই পৃথিবী থেকে আমি চলে যাব – সেদিন সে বসন্তে কে তোমায় এই উপহার পাঠাবে প্রিয়ে? সেদিন থেকে, প্রিয়ে, প্রতি বসন্তে তুমি নিজ হাতে ফুল তুলে নিয়ে যেও আমার সমাধির পাশে, সেথায় পরম শান্তিতে শুয়ে তোমারই প্রতীক্ষা করব – চেয়ে থাকব তোমার আশা-পথপানে, তুমি গিয়ে আমার কবরের উপর ছড়িয়ে দিও সেই ফুলের রাশি। বুলবুলি সেখানে অবিশ্রান্ত গান গেয়ে যাবে। আমি শুনবো সেই গান, ধরণীর কোলে শুয়ে অনন্ত তৃপ্তির ঘোরে সেই সুরের রেশ – ওগো মর্তের প্রিয়া – তোমারই কথা আমার স্মরণ করিয়ে দেবে। তুমি তখন তারই কথা মনে করো যে তোমায় প্রতি বসন্তে পুষ্পোপহারে প্রেম নিবেদন করত – যে ভালবাসত শুধু ফুল !!
(FAQ) গিয়োভানী সিগানটিনির প্রেমপত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
ইতালির একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী।
প্রকৃতির উপাসক।
নিজ স্ত্রীকে।