শাহজাহানের রাজত্বকাল: মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী?

শাহজাহানের রাজত্বকাল মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী? – এই বিষয়ে স্মিথের অভিমত, হান্টারের অভিমত, এলফিনস্টোনের অভিমত, সমসাময়িক ঐতিহাসিকদের অভিমত, বিরোধী মত, শাহজাহানের রাজত্বের গৌরবময় দিক হিসেবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, সাম্রাজ্যবাদ, আর্থিক উন্নতি, দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা, শিল্পের বিকাশ, সাহিত্যের বিকাশ, শাহজাহানের রাজত্বের অন্ধকার দিক হিসেবে চরম আর্থিক বিপর্যয়, কৃষক শ্রমিকদের দুর্বিষহ জীবন, রাজস্ব বৃদ্ধি, দুর্নীতি, শোষণ, অত্যাচারঅত্যাচার ও ধর্মান্ধতা সম্পর্কে জানবো।

শাহজাহানের রাজত্বকাল মোগল সাম্রাজ্যের সুবর্ণ যুগ বলা যায় কি প্রসঙ্গে সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালের গৌরবময় দিক, সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালের অন্ধকার দিক, নানা দিক থেকে শাহজাহানের রাজত্বকালের চাকচিক্যময়তা, সমগ্ৰ মধ্যভারতীয় ইতিহাসে স্বর্ণযুগ, শাহজাহানের রাজত্বকাল স্বর্ণযুগ বলতে বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও বিতর্ক সম্পর্কে জানব।

মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী?

ঐতিহাসিক ঘটনামোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী?
রাজত্বকাল১৬২৮-১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ
পূর্বসূরিজাহাঙ্গীর
উত্তরসূরিঔরঙ্গজেব
অবদানতাজমহল
ময়ূর সিংহাসন নির্মাণ
মোগল সাম্রাজ্য

ভূমিকা :- ১৬২৮ থেকে ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাহজাহান -এর ত্রিশ বৎসরের রাজত্বকালকে ভারতবর্ষ-এ মোগল শাসনের ইতিহাসে ‘স্বর্ণযুগ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী? এ সম্পর্কে স্মিথের অভিমত

ঐতিহাসিক ডঃ স্মিথ-এর মতে, শাহজাহানের রাজত্বকাল মোগল সাম্রাজ্য ও বংশের চরমোৎকর্ষের যুগ।

মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী? এ সম্পর্কে হান্টারের অভিমত

হান্টার বলেন যে, “ক্ষমতা ও আড়ম্বরের দিক থেকে বিচার করলে শাহজাহানের রাজত্বকালে মোগল বংশ সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেছিল।”

মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী? এ সম্পর্কে এলফিনস্টোনের অভিমত

ঐতিহাসিক এলফিনস্টোন (Elphinstone)-এর মতে শাহজাহানের রাজত্বকাল ছিল “ভারত ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধশালী” (“the most prosperous ever known to India”) অধ্যায়।

মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী? সমসাময়িক ঐতিহাসিকদের মতামত

সমকালীন ঐতিহাসিক কাফি খাঁ, আবদুল হামিদ লাহোরি, আবদুল লতিফ এবং বিদেশি পর্যটকদের মধ্যেও অনেকে তাঁর শাসনকালের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী? এ সম্পর্কে কাফি খাঁর অভিমত

ঐতিহাসিক কাফি খাঁ লিখছেন যে, তৈমুর বংশীয়দের মধ্যে এমন কোনও শাসক জন্মগ্রহণ করেন নি যিনি প্রশাসনের সংগঠনে, রাজকোষের উন্নতি বিধানে, দেশের সুস্থিতি আনয়নে এবং কর্মচারী ও সৈনিকদের মূল্য নিরূপণে এতখানি গৌরবময় সাফল্য দেখাতে পেরেছেন। এক কথায়, তাঁর রাজত্বকাল সব দিক থেকেই ছিল সুখী ও সমৃদ্ধশালী।

মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী? এ সম্পর্কে বিরোধী মত

সমকালীন পর্যটক এডওয়ার্ড টেরি, টমাস রো এবং আধুনিক ঐতিহাসিক বেণীপ্রসাদ সাকসেনা, রমেশচন্দ্র মজুমদার, কালীকিঙ্কর দত্ত প্রমুখ আপাত চাচিক্যের অন্তরালে ঘোরতর অন্ধকারের সন্ধান পেয়েছেন। সুতরাং উভয়দিকের অনুপূর্ব বিচার করেই তাঁর রাজত্বের সাফল্যের মূল্যায়ন করা উচিত।

শাহজাহানের রাজত্বের গৌরবময় দিক

মোগল সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বের গৌরবময় দিক গুলি হল –

(১) শান্তি ও সমৃদ্ধি

শাহজাহানের রাজত্বের সূচনাপর্বে বিদ্রোহ-জনিত সামান্য কিছু অশান্তি দেখা গেলেও তাঁর শাসনকালে সমগ্র সাম্রাজ্য-এ সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি বিরাজ করত। রাজকোষ পরিপূর্ণ ছিল এবং কোনও বৈদেশিক শক্তি সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব বিপন্ন করে নি বা তাঁর নিরঙ্কুশ শাসনের বিরুদ্ধে কোনও বড় আকারের বিদ্রোহও সংঘটিত হয় নি।

(২) বিদেশি পর্যটকদের বিবরণ

বিদেশি পর্যটক মানুচি, তাভারনিয়ার প্রমুখের রচনা থেকে জনসাধারণের সুখ-শান্তির কথা জানা যায়। বার্ণিয়ের বলেন যে, রাজার মতো নয়—পিতা যেমন তাঁর পরিবারবর্গকে লালন-পালন করেন, সম্রাটও তেমনি প্রজাদের প্রতিপালন করতেন।

(৩) সাম্রাজ্যবাদ

মোগল সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাসে এই যুগ এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।সমকালীন ঐতিহাসিক আবদুল হামিদ লাহোরি -র মতে শাহজাহানের আমলেই মোগল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি চরম সীমায় পৌঁছায়। বলা বাহুল্য, এই মত যুক্তিগ্রাহ্য নয়। এই পর্বে দাক্ষিণাত্যে মোগল কর্তৃত্ব বিস্তৃত হলেও কান্দাহার ও বলখ-এ প্রভূত ক্ষতি সত্ত্বেও তিনি ব্যর্থ হন।

(৪) নিরাপদ সীমা পর্যন্ত সাম্রাজ্যের বিস্তার

শাহজাহানের আমলে নয়— ঔরঙ্গজেবের আমলেই মোগল সাম্রাজ্য চরম বিস্তৃতি লাভ করে। এ কথা অবশ্য ঠিক যে শাহজাহানের আমলে ‘নিরাপদ সীমা পর্যন্ত সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটেছিল। এই সময় মোগল সাম্রাজ্য পশ্চিমে সিন্ধুদেশ, পূর্বে আসাম, উত্তরে আফগানিস্তান ও দক্ষিণে গোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

(৩) আর্থিক উন্নতি

অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারত ছিল সুখী ও সমৃদ্ধ। রাজকোষ ছিল পরিপূর্ণ এবং সাম্রাজ্যের আয় সমস্ত পূর্বতন আয়ের মাত্রাকে ছাড়িয়ে যায়। ব্যবসা-বাণিজ্যের চরম সমৃদ্ধি ঘটে এবং পশ্চিম এশিয়াইউরোপ-এ নতুন নতুন বাণিজ্যের দিক উন্মোচিত হয়। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার কারণে ভারতের আন্তবাণিজ্যও যথেষ্ট প্রসার লাভ করে।

(৪) কৃষির উন্নতি

ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির উন্নতির জন্য সম্রাট বেশ কিছু খাল খনন ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এর ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মোরল্যাণ্ড -এর মতে “শাহজাহানের রাজত্বকাল ছিল কৃষিক্ষেত্রে শান্তির কাল” (‘Period of agrarian tranquility’)।

(৫) দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা

শাহজাহানের আমলে কয়েকবার দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।কিন্তু সম্রাট জনসাধারণের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা অবলম্বন করেন। সম্রাটের এই পদক্ষেপের জন্য ইংরেজ পর্যটক পিটার মাণ্ডি সম্রাটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

(৪) শিল্পের বিকাশ

শিল্প, সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা ও স্থাপত্য শিল্পের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। দেওয়ানে আম, দেওয়ানে খাস, লালকেল্লা, মোতি মসজিদ, জামা মসজিদ, শিশমহল, খাসমহল, তাজমহল, ময়ূর সিংহাসন তাঁর শিল্প-নৈপুণ্য ও সৌন্দর্যপ্রিয়তার সাক্ষ্য বহন করে। তিনি সমগ্র সাম্রাজ্যকে সৌধমালা, উদ্যান, স্নানাগার, নালা, জলাধার, মসজিদ ও স্মৃতিসৌধে সজ্জিত করে তোলেন।

(৫) শ্রীবাস্তব-এর অভিমত

ঐতিহাসিক ডঃ এ. এল. শ্রীবাস্তব -এর মতে শুধুমাত্র স্থাপত্যের দিক থেকে বিচার করলে এই যুগকে ‘স্বর্ণযুগ’ বলা চলে।

(৬) সাহিত্যের বিকাশ

তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় মোগল দরবার শিল্প ও সংস্কৃতির কেন্দ্রে পরিণত হয়। পারসিক, হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষায় গদ্য ও কাব্য, জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিতশাস্ত্র, চিকিৎসাবিদ্যা—সব কিছুই বিকশিত হয়ে ওঠে। ‘গঙ্গাধর’ ও ‘গঙ্গা লহরী’ কাব্য-রচয়িতা জগন্নাথ পণ্ডিত, ‘পাদশাহনামা’ রচয়িতা আবদুল হামিদ লাহোরি, সংগীতজ্ঞ সুখসেন, জগন্নাথ তাঁর রাজসভা অলংকৃত করতেন।

সুবর্ণযুগ

শাহাজাহানের রাজত্বকালের এই সব গৌরবময় দিক গুলির কারণে তাঁর শাসনকালকে অনায়াসেই ‘সুবর্ণ যুগ” বলে আখ্যায়িত করা যায়।

শাহজাহানের রাজত্বের অন্ধকার দিক

এই যুগের আপাত সমৃদ্ধি ও জাঁকজমকের আড়ালে সাম্রাজ্যের মৃত্যুর ঘণ্টাধ্বনি অস্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছিল। এই অন্ধকারময় দিক গুলি হল –

(১) চরম আর্থিক বিপর্যয়

দাক্ষিণাত্য ও গুজরাটের ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ এবং মধ্য এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলে অর্থক্ষয়ী ব্যর্থ অভিযানগুলি সাম্রাজ্যের অর্থনীতিতে বিরাট আঘাত হানে।

(২) কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্বিষহ জীবন

তাঁর বিরাট আমলাতন্ত্র, সুবিশাল সেনাবাহিনী ও উজ্জ্বল স্মৃতিমন্দিরগুলির বিশাল ব্যয়ভার সাধারণ কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে এবং সাম্রাজ্যের আর্থিক বুনিয়াদ ধ্বংস করে দেয়।

(৩) ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধি

ভূমিরাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করে উৎপন্ন ফসলের ১/২ অংশ করা হয়। সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের সামর্থ্য হারায়। সমগ্র দেহকে বঞ্চিত করে, কেবলমাত্র মুখের সৌন্দর্য যেমন সুস্বাস্থ্যের পরিচয় দেয় না, তেমনি গ্রামীণ ভারতকে দারিদ্রে ডুবিয়ে রেখে দিল্লি-আগ্রাকে সুসজ্জিত করায় জাতীয় অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে।

(৪) দুর্নীতি

দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাদেশিক শাসনকর্তা, আমলা এবং মনসবদার ও জায়গিরদারদের সীমাহীন লোভ সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে দেয়।

(৫) সীমাহীন অত্যাচার

বার্নিয়ার বলেন যে, প্রদেশে অপশাসন ও শাসকদের লোভ গ্রামীণ জনগণকে দুঃখ-দুর্দশার চরম সীমায় ঠেলে দিয়েছিল। শোষণ ও অত্যাচার থেকে বাঁচবার জন্য অনেক কৃষক ও গ্রামীণ মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী কোনও হিন্দুরাজ্যে আশ্রয় নিত, কারণ হিন্দুরাজ্যগুলিতে এই ধরনের অত্যাচার হত না।

(৬) শোষণের সূত্রপাত

পূর্ববর্তী যুগে মোগল আমলাতন্ত্র ছিল সাম্রাজ্যের স্তম্ভ-বিশেষ, কিন্তু এই সময় শোষণ, দুর্নীতি ও হয়রানি সে যুগের নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়। এই সময় মোগল রাজপুরুষেরা ‘মসলিনের ঘাঘরা পরা পাণ্ডুর পুরুষে’ (‘pale persons in muslin petticoats’) পরিণত হন।

(৭) উৎকোচ ব্যবস্থার দৃঢ়তা

সম্রাট উপঢৌকন ভালোবাসতেন এবং এর ফলে নজরানা দেওয়ার মাধ্যমে উৎকোচ ব্যবস্থা শিকড় গেড়ে বসে।

(৮) ধর্মান্ধতা

শাহজাহানের ধর্মান্ধতা হিন্দু ও শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে শত্রুতে পরিণত করে।

(৯) অন্যান্য ব্যর্থতা

মধ্য এশিয়ায় তাঁর ব্যর্থতা মোগল সামরিক গৌরবকে ম্লান করে দেয়। দাক্ষিণাত্যে আহম্মদনগরের বিলুপ্তি এবং গোলকুণ্ডা ও বিজাপুরের দুর্বলতা উদীয়মান মারাঠা শক্তিকে নানাভাবে সাহায্য করে। পুত্রদের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণহীনতা তাঁর জীবদ্দশাতেই সাম্রাজ্যকে উত্তরাধিকার-দ্বন্দ্বের মধ্যে ঠেলে দেয়।

মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কী? এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত

তাই শাহজাহানের রাজত্বকাল হল সমৃদ্ধি ও অবক্ষয়ের সন্ধিকাল। শিল্প ও সাহিত্যে এই যুগে যেমন চরম উন্নতি ঘটেছিল, তেমনি প্রশাসন ও সামরিক দক্ষতায় অবক্ষয়ের সূচনা হয়। সামনের আবরণ যতই জমকালো হোক না কেন, এর অন্তরেঅবক্ষয় ও ধ্বংস শুরু হয়ে গিয়েছিল।

মূল্যায়ণ

অনেকে তাঁর রাজত্বকালের সঙ্গে ফ্রান্স-এর চতুর্দশ লুই-এর শাসনকালের তুলনা করে বলেন যে, উভয় সম্রাটের বিরাট আড়ম্বরপ্রিয়তার আড়ালে সাম্রাজ্যের ধ্বংসের বীজ লুকিয়েছিল। তাই তাঁর রাজত্বকালকে কখনোই সুবর্ণ যুগ’ বা ‘চরমোৎকর্ষের যুগ’ হিসাবে আখ্যায়িত করা যায় না- বরং বলা যায় যে, তাঁর রাজত্বকাল থেকেই মোগল সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা হয় (“It was not a period of climax, but of climacteric.”)

উপসংহার :- শাহজাহানের আমলে নানা দিক থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের চাকচিক্য পরিলক্ষিত হলেও তখন দেশ হয়ে পড়েছিল অন্তঃসারশূন্য। স্বেচ্ছাচারিতা, আড়ম্বর ও বিলাস-ব্যসনের ফলে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছিল।

(FAQ) মোগল সাম্রাজ্যকে সুবর্ণযুগ বলা যায় কিনা সে সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কার রাজত্বকালকে মোগল সাম্রাজ্যের সুবর্ণযুগ আখ্যা দেওয়া হয়?

মোগল সম্রাট শাহজাহান।

২. তাজমহল ও ময়ূর সিংহাসন কে নির্মাণ করান?

মোগল সম্রাট শাহজাহান।

৩. শাহজাহানের পর কে মোগল সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন?

সম্রাট ঔরঙ্গজেব।

Leave a Comment